মাছ, সবজি, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা...বাসা থেকে গোটা গোটা অক্ষরে লিখে দেওয়া বাজারের ফর্দের দিকে তাকিয়ে আছেন। তালিকায় ‘ধনেপাতা’ দেখে মেজাজ বিগড়ে যাচ্ছে। যথাসম্ভব শান্ত থেকে বাজার করে নিয়ে এলেন। বাজারের ব্যাগ বাসায় রাখতে রাখতে জানিয়ে দিলেন, ‘ধনেপাতা দিয়ে যা খুশি হোক, কিন্তু আমার খাবারে যেন না আসে’!
ধনেপাতার ব্যাপারটা অনেকের কাছে এমনই। এর স্বাদ-গন্ধ কেউ কেউ সহ্যই করতে পারেন না। কেউ কেউ আবার ধনেপাতা ছাড়া কিছু কিছু পদ রান্না করার কথা ভাবতেই পারেন না। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, সি, কে, ফলিক অ্যাসিডসহ অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিহিস্টামিনের মতো উপকারী উপাদান রয়েছে।
তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কিন্তু কম নয়। খাবারদাবারে এর অতিরিক্ত ব্যবহার বেশ কিছু রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বেশি বেশি ধনেপাতা খেলে শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি, বুকে ব্যথা হতে পারে। কমে যেতে পারে লিভারের কার্যক্ষমতা। এমনকি গর্ভস্থ ভ্রূণের ক্ষতিও হয় এতে। অবশ্য ধনেপাতা যাঁদের অপছন্দ, এসব নিয়ে তাঁদের মাথাব্যথা নেই।
ধনিয়ার ইংরেজি ‘করিয়ান্ডার’ এসেছে গ্রিক শব্দ ‘করিস’ থেকে, যার অর্থ তীব্র দুর্গন্ধ ছড়ানো পতঙ্গ। হ্যাঁ, এই গন্ধের জন্যই অনেকে এটি পছন্দ করেন না। এর থেকে সাবান, লোহা বা পোকামাকড়ের গন্ধ পেয়ে থাকেন তারা। বৈজ্ঞানিক সাময়িকী নেচার প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়েছে যে ধনেপাতা থেকে সাবানের গন্ধ পাওয়ার সঙ্গে জিনগত বৈশিষ্ট্যের সম্পর্ক রয়েছে।
আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ধনেপাতা অপছন্দ করা দিবস। ২০১৩ সালে ‘আই হেট করিয়ান্ডার’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপের উদ্যোগে দিনটির চল হয়। ধনেপাতা যাঁরা অপছন্দ করেন, তাঁরা কিন্তু এটি পালন করতে পারেন।
ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে