তিন দিনের ছুটিতে বাড়িতে বসে কী করবেন?
আজ শুরু হচ্ছে টানা তিন দিনের ছুটি। এই ছুটিতে অনেকেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছেন। তবে যাঁরা দূরে কোথাও যেতে পারছেন না, তাঁরা কি ছুটিটা বাসায় বসে বোর হয়ে কাটাবেন? ছুটিতে বাসায় বসে যাতে বোর হতে না হয়, তাঁদের জন্য থাকছে ১০ পরামর্শ।
একই ফ্ল্যাটে আছেন অথচ কাজের চাপে প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়ে ওঠে না। এই ছুটিটাকে কাজে লাগাতে পারেন। ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা মিলে বাড়ির ছাদেই আয়োজন করতে পারেন মিলনমেলার। সবার সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠার পাশাপাশি বাড়ির ছোট সদস্যদেরও কোয়ালিটি সময় কাটবে।
ব্যস্ততার কারণে হয়তো সৌন্দর্যচর্চা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় হয়ে ওঠে না। ছুটিটাকে কাজে লাগান। বাইরে যাওয়ারও দরকার নেই। বাড়িতেই সবাই মিলে নিতে পারেন ত্বক ও চুলের যত্ন। এক দিন প্রিয়জনদের কাছে থেকে একটু যত্নের ছোঁয়া পেলে কার না মন ভালো লাগবে।
বাড়ির ছোট সদস্যদের নিয়ে মেতে উঠতে পারেন সৃজনশীল কোনো কাজে। এই যেমন কাগজ দিয়ে বানাতে পারেন কোনো ক্র্যাফট বা তাদের সঙ্গে নিয়ে পোশাকে আঁকতে পারেন পছন্দের নকশা।
অনেক দিন ধরেই হয়তো ইউটিউবে বা পত্রিকার পাতায় দেখা কোনো রেসিপি রাঁধবেন বলে ভেবে রেখেছেন। তাহলে আর দেরি কেন? এই ছুটিটাকে কাজে লাগান। বাড়ির সদস্যদের নিয়ে পছন্দের রান্নাটি করার আয়োজনে লেগে পড়ুন।
এই ছুটিটা হতে পারে কাজিনদের সঙ্গে কাটানোর মোক্ষম এক সময়। রাত জেগে কাজিনদের সঙ্গে আড্ডা আর খুনসুটির এই স্মৃতি হয়তো রয়ে যাবে সারা জীবন।
ফেসবুকের প্রোফাইল ছবিটা কয়েক দিন ধরেই পাল্টাবেন ভাবছেন। কিন্তু ক্যামেরার গ্যালারিতে নতুন কোনো ছবি নেই দেখে আর করা হয়ে উঠছে না। এই ছুটিতে সেজেগুজে বাসার ছাদেই ছবি তুলে ফেলুন। যেহেতু হাতে অনেক সময় আছে, তাই বিভিন্ন পোশাকে বেশ কয়েকটি ছবি তুলে ফেসবুক গ্যালারিতে সংগ্রহ করে রাখতে পারেন।
আলমারিতে হয়তো অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস হয়েছে। ব্যস্ততার কারণে সেগুলো সরানোর সময় হয়ে ওঠে না। এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে আলমারির অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সরিয়ে ফেলতে পারেন।
অনেক দিন হয় আয়োজন করে দুপুরে ভাতঘুম দেওয়া হয় না। সেই ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারে এই ছুটি। দুপুরের খাবারের পর আয়েশ করে লম্বা সময় ধরে একটু ঘুমিয়ে নিন। সুন্দর ছুটি কাটানোর এটিও একটি মোক্ষম উপায়।
দিন রাতের পার্থক্যের কারণে প্রবাসী আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে মন খুলে আড্ডা দেওয়া আর হয়ে ওঠে না। ছুটির মধ্যে তো আর সেই বাধা নেই। তাই এ সময় প্রবাসী স্বজনদের সঙ্গে জম্পেশ আড্ডায় মেতে উঠতে পারেন।
বাসার আশপাশে থাকা আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে বাড়ির পাশেই রেস্তোরাঁয় দল বেঁধে নাশতা করে আসতে পারেন। এতে যেমন আউটিংও হবে আর ছুটিটাও কাটবে সুন্দর।