এক কাপ চায়ের জন্য অতিরিক্ত খরচ করছেন না তো?

শিরোনাম দেখেই আপনার ভ্রু কুঁচকে যেতে পারে। মাত্র এক কাপ চায়ের জন্য আবার অতিরিক্ত খরচের কথা কেন? এটা ঠিক যে এক কাপ চা বানানোর সময় আপনার মিতব্যয়িতা আপনার ব্যাংকব্যালান্স বাড়িয়ে দেবে না। তবে এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে চা-কফির জন্য পানি গরম করার সময় আমরা অনেকেই বাড়তি জ্বালানি খরচ করে ফেলি। আর মাসের ৩০ দিন দুবেলা এভাবে বাড়তি জ্বালানি খরচ করার কারণে আপনার মাসিক ব্যয় ঠিক কতটা বাড়ে, সেটা আপনি নিজেও হিসাব করে নিতে পারেন। বৈদ্যুতিক কেটলি ব্যবহার করলে বৈদ্যুতিক মিটারের রিডিং থেকেই আপনি এর একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। তবে পরিমিত জ্বালানি ব্যয় করে চা বানানো কিন্তু খুব একটা কঠিন কাজ নয়।

চা-কফির জন্য পানি গরম করার সময় আমরা অনেকেই বাড়তি জ্বালানি খরচ করে ফেলিছবি: পেক্সেলস

পানির পরিমাণ

আপনি হয়তো রোজ একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ চা বা কফি খান। এই চা বা কফি বানাতে আপনার ঠিক যতটুকু পানি প্রয়োজন, ততটুকুই গরম করুন। একটা মগ বা কাপের সাহায্যে পানিটুকু আপনি চায়ের পাতিল বা কেটলিতে ঢেলে নেওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। চাইলে কেটলির গায়ে একটা চিহ্নও দিয়ে নিতে পারেন। এ কারণে স্বচ্ছ কেটলি বেশ ভালো। এতে পানি পরিমাপের জন্য দাগ কাটা থাকে। প্রশ্ন জাগতে পারে, পানি মাপামাপির জন্য এত ঝামেলা করে কী লাভ? উত্তরটা হলো, আপনি যত বেশি পরিমাণ পানি পাত্রে নেবেন, তা গরম হতে তত বেশি সময় লাগবে। আর আপনার জ্বালানি খরচও বাড়বে সেই অনুপাতে। তা ছাড়া অতিরিক্ত পানি গরম করে সেই পানি ফেলে দেওয়াও কিন্তু অপচয়, বদভ্যাস।

চা বা কফি বানাতে আপনার ঠিক যতটুকু পানি প্রয়োজন, ততটুকুই গরম করুন
ছবি: পেক্সেলস

পরিষ্কার রাখুন পানি গরমের পাত্র

পানির খরতা বা পানিতে থাকা আয়রন ও খনিজ পদার্থের কারণে পাত্রের ভেতরের দিকে লালচে বা সাদা স্তর (লাইমস্কেল) জমা হতে পারে। এতে কিন্তু ওই পাত্রে পানি গরম হতে বেশি সময় লাগে। ফলে বাড়ে জ্বালানি খরচ। আর চা-কফির স্বাদটাও ম্লান হয়ে আসে। এই স্তর জমে থেকে গেলে পাত্রটি খুব বেশি দিন ব্যবহারের উপযোগীও থাকে না। বারবার চা-কফি বানানোর পাত্র কেনাটাও কিন্তু খরচের বিষয়। তাই পাত্রের ভেতরটা পরিষ্কার করুন ভালোভাবে।

লালচে বা সাদা স্তর জমার প্রবণতা কমাতে

পানির পাত্রটি ব্যবহার শেষ হয়ে গেলে তাতে আর পানি রাখবেন না। অবশ্যই তা ভালোভাবে শুকিয়ে রাখুন। আর আপনি যদি খর পানির এলাকায় বসবাস করেন, তাহলে বাড়িতে একটি মানসম্মত ফিল্টার ব্যবহার করুন, যাতে পানির খরতা দূর হয়। খাবার পানি তো বটেই, চা–কফি তৈরির জন্যও পানি নিন এই ফিল্টার থেকে।

একবার চা খেতে বারবার পানি গরম নয়

যখন উষ্ণ পানীয় খাবেন, তখনই পানি গরম করুন। একবার পানি গরম হয়ে যাওয়ার পর আপনাকে অন্য কাজে চলে যেতে হলে আপনি হয়তো ফিরে এসে আবার পানি গরম করবেন। এভাবে এক কাপ পানীয়ের জন্য আপনার খরচ পড়বে বেশি। তবে আপনি চাইলে এমন কেটলিও বেছে নিতে পারেন, যাতে পানি গরম করার পরও বেশ খানিকক্ষণ উষ্ণ থাকে।

সূত্র: এক্সেপশনাল

আরও পড়ুন