‘হোমসিকনেস’ শব্দটির সঙ্গে যেভাবে পরিচয় হলো
স্কুলজীবনে জাতীয় সংগীত আমরা সবাই গাই। কিন্তু বড় হওয়ার পর কখনো কখনো, কোনো কোনো পরিস্থিতিতে এই চেনা গানই গায়ে কাঁটা দেয়। সে রকম আবেগময় কিছু মুহূর্তের গল্পই আমরা শুনেছিলাম কয়েকজন তরুণের কাছে। এখানে থাকছে ইউএনডিপি ব্যাংকক রিজিওনাল হাবের সমন্বয়ক লামিয়া আলমের কথা।
কাজের সুবাদে আমি তরুণদের নানা সম্মেলনে বাংলাদেশকে তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি। এখন ইউএনডিপি ব্যাংকক রিজিওনাল হাবে ইয়ুথ প্রোগ্রাম কো–অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছি। এশিয়ার নানা দেশের তরুণদের নিয়েই আমার কাজ। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আয়োজন, উন্নয়নমূলক নানা কাজ আমরা করি।
এ বছরের জুনে আমি জার্মানির বনে অ্যাকশন ফর ক্লাইমেট এমপাওয়ারমেন্ট ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ প্রোগামে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাই। ইউনাইটেড ন্যাশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ এই অনুষ্ঠানের আয়োজক। এশিয়ার দেশগুলোর সংকটে তরুণেরা কী ভূমিকা রাখতে পারেন, সম্মেলনে সেটিই তুলে ধরেছিলাম।
এই সম্মেলনেরই একটি অধিবেশনে সবাই যাঁর যাঁর মতো করে নিজ দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরছিলেন। সেখানে আমি ল্যাপটপে আমার দেশের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে শোনাই। সেদিন দেশে ফেরার একটা প্রবল টান অনুভব করছিলাম। এর আগে কখনো ‘হোমসিকনেস’ শব্দটির সঙ্গে সেভাবে পরিচিত ছিলাম না। জাতীয় সংগীত আমাকে বাংলাদেশের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল। সম্মেলনের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাদেশের পতাকা দেখে খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। কেউ যখন পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন, ‘লামিয়া ফ্রম বাংলাদেশ’, বুকের ভেতরটা কেমন যেন করছিল।