বিশ্বাস আর আস্থায় প্রথম যে
পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে
জীবন কেমন যেন
আমাদের দীর্ঘ দূরত্বের ভালোবাসায় মাসে এক বা দুই দিনের বেশি দেখা হয় না। তাই প্রতিবার দেখা করার সময় কত যে আয়োজন থাকে রাতে না ঘুমিয়ে দিস্তা দিস্তা কাগজে উপন্যাসের প্লটের মতো একেকটা চিঠিতে যে ইচ্ছার উপাখ্যান লিখে ফেলি, তা হয়তো কোনো মহাকাব্যকেও হার মানাবে। তোমার ফানুস ভালো লাগে, আমি রাতভর ফানুস উৎসবে মেতে উঠি। এই রাস্তার পাশ বেঁয়ে চলা সমান্তরাল রেললাইনটা বরাবর একাকিত্বে ভোগে। আমাদের অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল, এখান দিয়ে একটা ট্রেন যাবে, আমরা দুজন একসঙ্গে দেখব। অনেক অপেক্ষার পর আমাদের ইচ্ছা পূরণ হলেও খানিক দূরে গিয়ে দেখি মানুষের ভিড়। শুনলাম কেউ একজন ট্রেনে কাটা পড়েছে। আসলেই পৃথিবীটা কেমন? যেন কারও ইচ্ছা পূরণ হয়, আবার সেই ইচ্ছাতেই কারও জীবন চলে যায়।
জান্নাতুল ফেরদৌস, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ
স্মৃতিতে বন্ধুরা
বন্ধু রে, খুব বেশি মনে পড়ে একসঙ্গে ছুটে চলা এখানে সেখানে। পড়া ফাঁকি দিয়ে দুরন্ত সেই আড্ডার স্মৃতি মন পোড়ায়। মন থেকে কখনোই তোদের স্মৃতি হারিয়ে যায় না। হয়তো সময়ের ব্যবধানে, কর্মব্যস্ততায়, কখনো কখনো জীবনের বাস্তবতার কারণে দূরত্ব বেড়ে যায়, যোগাযোগ কম হয়। কিন্তু অন্তরের অন্তস্থলে বন্ধুত্বটা খুব যত্নে বেঁচে থাকে।
খুব একলা হলে বা একটু সময় পেলেই মন বন্ধুত্বের শহরে ছুটে চলে। শত ব্যস্ততার ভিড়েও তোরা ঠিকই মনের মধ্যে বেঁচে থাকিস। বন্ধু, তোরা ভালো থাকিস, যেখানে আছিস সুখে থাকিস।
মুহাম্মদ সোলাইমান, ঢাকা কলেজ, ঢাকা
মায়া
মায়ার জাল বড়ই কঠিন। দিহা নামের এক তরুণীর মায়ার জালে আজ দুটি বছর হলো আটকে আছি। যদিও সে এখন আমার নয়। অন্যের ঘরনি হয়ে হয়তো সুখে জীবন যাপন করছে। যদিও তাকে না পাওয়ার পেছনে সম্পূর্ণ দোষটা আমার। আমাকে পাওয়ার জন্য সে সবকিছু করতে রাজি ছিল। কিন্তু সঠিক সময়ে তাঁকে গুরুত্ব না দেওয়ার ফলে আজ সে আমার জীবন থেকে বহুদূরে। আর এখন প্রতিটা সময় তাঁর অভাব অনুভব করি। তাঁর একটি কথা এখনো মনকে নাড়া দেয়, আমি নাকি তাঁর জীবনটা এলোমেলো করে দিয়েছি। দিহা খুব মিস করি তোমাকে।
আকরাম খান, একাডেমি থেকে বলছি
অনাকাঙ্ক্ষিত বিকেল
প্রায় চার বছর আগের কথা। প্রতিদিনের মতো সেদিনও ঘুম ভাঙার পরই তাঁকে খুদে বার্তা পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো উত্তর না আসায় বারবার কল করতে থাকি। কিছুক্ষণ পর ফোন বন্ধ পাই। ঠিক দুই দিন পর একটি অপরিচিত নম্বর থেকে খুদে বার্তা আসে, ‘আমাকে ভুলে যেয়ো, ভালো থেকো।’ তার পর থেকে আর কখনো সেই ফোনে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আজ শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের মার্কেটে তার সঙ্গে হঠাৎ সাক্ষাৎ। পাশে এক সুদর্শন ভদ্রলোক আর কোলে ফুটফুটে এক শিশু। বুঝতে পারলাম, আমাকে ‘ভালো থেকো’ বলে সে নিজে অনেক বেশি ভালো আছে।
মোছাব্বিরুল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্বাস আর আস্থায় প্রথম যে
২০১৮ সালের শুরু থেকেই তুমি মনে জায়গা করে নিয়েছ। অন্য কেউ কখনো সেই জায়গাটা পাবে না। বিশ্বাস আর আস্থায় তুমি আমার প্রথম ও শেষ ভরসা। ভালোবাসার সূচনাও এখান থেকে। সম্প্রতি জীবনের তাগিদে আমার একটু ব্যস্ততা বেড়েছে। জানি সেটা মানিয়ে নিতে তোমার অনেক কষ্ট হয়। তবে তোমাকে কখনোই মিথ্যা অজুহাতে এড়িয়ে যাইনি। তুমি তো জানো, আমি ফাঁকিবাজ নই। ব্যস্ততার জন্য আমাকে ভুল বোঝো না। আমি তোমারই আছি প্রতিটি ক্ষণ।
সিফাত রাব্বানী, নড়িয়া, শরীয়তপুর
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’