পরিবর্তনে ছিলেন, সেবাতেও আছেন

বিদায় নিচ্ছে ২০২৪। বছরজুড়েই আমাদের তরুণদের অর্জন ছিল নানা অঙ্গনে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের অর্জন।

ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব নেন ছাত্রছাত্রীরাছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

৫ আগস্টের পর ট্রাফিক পুলিশহীন হয়ে পড়ে ঢাকাসহ সারা দেশের রাস্তাঘাট। তাদের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব নেন ছাত্রছাত্রীরা। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করেছেন তাঁরা। এই তরুণদের কল্যাণে সড়কের শৃঙ্খলা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। আগস্টের বন্যায়ও নানা উদ্যোগ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। টিএসসির ফটকে বুথ বসিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই ‘গণত্রাণ সংগ্রহ’ কার্যক্রমে দল–মতনির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে উদাহরণ হয়ে থাকবে। কখনো ছোট পরিসরে, কখনো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সংগঠন এক হয়ে বন্যাদুর্গত এলাকায় নিয়ে গেছে খাবার, পানি ও কাপড়। স্পিডবোট ও নৌকা দিয়ে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছিলেন এই তরুণেরা। ড্রোন, জল-রোবট ব্যবহার করেও ত্রাণ দিয়েছে কয়েকটি দল।

৫ আগস্টের পর সংসদ ভবনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায়ও অংশ নিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। স্কুলপড়ুয়া অনেকে রাস্তা বা ড্রেনের ময়লা, আবর্জনা সরিয়েছে। আন্দোলনের পর বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালান শিক্ষার্থীরা। ভোক্তা অধিকার রক্ষায় সোচ্চার শিক্ষার্থীরা বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নেন। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে মন্দির পাহারা দিয়েছেন কিছু তরুণ।

কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শহরের দেয়ালে দেয়ালে তরুণেরা রংতুলিতে ফুটিয়ে তুলেছিলেন নিজেদের মনের কথা
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

তবে সবচেয়ে নজর কেড়েছে দেয়ালে দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতি। রংতুলির আঁচড়ে কেউ এঁকেছেন আবু সাঈদকে, কেউ লিখেছেন জ্বালাময়ী স্লোগান।