ঈদের নিমন্ত্রণে টেবিলের সাজ হতে পারে এমন
ঈদের প্রথম দিন তো গেল মাংস কাটাকাটি আর গোছগাছে। মূল দাওয়াতের ঢল নামবে আজ থেকেই। এ কারণে খাবার টেবিলও সেজে উঠবে নানা ঢঙে। ২০২৪ সালের ধারা অনুযায়ী, টেবিল সাজে প্রাধান্য পাচ্ছে একই সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন নকশার অনুষঙ্গের উপস্থাপন। আধুনিক জ্যামিতিক নকশার প্লেটের সঙ্গে পুরোনো দিনের নকশার বাটি কিংবা কাঠের পাত্রের সঙ্গে তামার প্লেটও যোগ করতে পারেন। টেবিল সাজানোর সময় অনুষঙ্গের সূক্ষ্ম উপস্থাপনও বিশেষ নজর কাড়ে। দুইভাবেই টেবিল সাজানো যায়। জমকালো উপস্থাপন যেমন চলছে আবার সহজ উপস্থাপনেও আনা যায় ভিন্নতা। প্লেট, বাটির ক্ষেত্রে হালকা রঙের প্যালেট বেছে নিতে পারেন। চাইলে সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন উজ্জ্বল রঙের রানার। খাবার টেবিলের আশপাশের সৌন্দর্যকেও মাথায় রাখা জরুরি। অর্থাৎ আশপাশের আসবাব এবং অন্দরসাজের অনন্য উপকরণও যেন নিজের উপস্থিতির জানান দিতে পারে। প্রকৃতির সৌন্দর্যকেও টেবিলে উপস্থাপন করুন। গাছ, ফুল কিংবা ছোট্ট একটা ডাল...। আবার যাঁরা চান চড়া রং আর ভারী নকশার প্লেট, সেটাও ব্যবহার করতে পারেন। টেবিলের পাত্রের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিত্বও প্রকাশ পেয়ে যায়। অর্থাৎ টেবিল সাজানোর সময় সবকিছু যে একই ধারায় হতে হবে, তা নয়।
এ বছর টেবিলের ওপর প্রকৃতিকে নিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে পাশ্চাত্যভিত্তিক ম্যাগাজিন আর অনলাইনের লেখাগুলো। খাবার টেবিলের মধ্যে ছোট গাছ অথবা ফুল সাজানোর রেওয়াজ অনেক আগে থেকেই আছে।
নানা ধরনের নীল রঙের নকশা আর শেডের পাত্র পাশাপাশি বিছিয়ে দিলে দেখতে মন্দ লাগবে না।
মিষ্টি খাবার বাটিগুলো একসঙ্গে কোথাও সাজিয়ে রাখতে পারেন। হাতল ছাড়া উজ্জ্বল রঙের কাপ, সাদামাটা নকশার বাটি, বাগানের ফুল, মোমবাতির আলো—সবকিছু মিলিয়েই উৎসবের আমেজ ফুটে উঠবে এই ছোট্ট জায়গার মধ্যেই।
মোমবাতির আলো মায়াবী পরিবেশ তৈরি করবে। দুর্গন্ধও দূর করবে। কাঠের প্লেট বা বাটির পরিবেশন জনপ্রিয়তা পেয়েছে এ বছর।