২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

সাজুক ঘরের কোণও

কর্নারকে আলোকিত করতে সিলিং থেকে ব্যবহার করতে পারেন স্পটলাইট
ছবি : নকশা

নতুন বাড়িতে তো বটেই, একটু পুরোনো ধাঁচের বাড়িতেও কোনার অন্দরসজ্জা ঘরকে দিতে পারে আধুনিক চেহারা। বিভিন্ন রঙের ল্যাম্পশেড ও শৌখিন কিছু পণ্য দিয়ে আপনিও পাল্টে দিতে পারেন ঘরের কোণ।

সাধারণত বসার ঘরের কোনাটি জাঁকজমকভাবে সাজানো হয়। বেশির ভাগ বাসার বসার ঘরের দেয়ালজুড়েই এখন সাদা রং। কর্নারটিকে আকর্ষণীয় করতে অন্য রংও ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দেয়ালের রং ও আসবাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্নারের রং নির্বাচন করতে হবে। রং করতে না চাইলে কোনায় সুদৃশ্য পটারিতে গাছও রাখতে পারেন। ল্যাম্পশেডের ব্যবহার কর্নারকে আকর্ষণীয় করে তোলে। পাশাপাশি ঘরে গাছ রাখার উপযুক্ত স্থানও ঘরের কোণ।

কর্নারে রাখা জিনিসগুলো একটু লম্বাটে হলে ভালো দেখাবে
ছবি : নকশা

তবে পটারি, ইনডোর প্ল্যান্ট বা ল্যাম্পশেড—যা–ই রাখুন না কেন, খেয়াল রাখবেন, এগুলোর আকৃতি যাতে একটু লম্বাটে হয়।

শোবার ঘরের কর্নারে দেয়ালের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিলিং থেকে বড় থেকে ছোট, এই ক্রমানুসারে তিনটি গোলাকৃতির রংবেরঙের ল্যাম্পশেড ঝুলিয়ে দিতে পারেন। যেহেতু এটি বিশ্রামঘর, তাই এর কর্নার বেশি জাঁকজমক করবেন না।

চাইলে পছন্দমতো তাক বানিয়ে নিতে পারেন
ছবি : নকশা

খাবার ঘরের কর্নারে পছন্দমতো নকশার লম্বা ফুলদানিতে রাখতে পারেন গাছ। খাবার ঘরের কোনায় তাকও বানিয়ে নিতে পারেন। তাকটি কাঠের হলে ওপরে পানির ফোয়ারা রাখতে পারেন। আর কাচের হলে রাখতে পারেন বিভিন্ন নকশার মোমের শোপিস।

বাসার প্রবেশপথের কোনায় দেয়ালের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বড় আকৃতির স্ট্যান্ডে (চার ফুট উঁচু ও ছয় পা) রাখতে পারেন পিতলের প্রদীপদানি। প্রদীপদানির ওপরে দুই দিকের দেয়ালের সঙ্গে স্থায়ীভাবে বসিয়ে দিতে পারেন কাঠের কারুকাজ করা আয়তাকার আয়না। প্রদীপের সঙ্গে মেঝেতে রাখতে পারেন পিতলের হুঁকোর শোপিস। আরেকটি পিতলের থালায় রাখতে পারেন বিভিন্ন আকৃতির মোম। যেকোনো উৎসবে প্রদীপের আলো প্রবেশপথে অতিথিকে জানাবে উষ্ণ অভ্যর্থনা।

কর্নারে হালকা আলোর ব্যবস্থা রাখা ভালো
ছবি : নকশা

যদি সুযোগ থাকে, কর্নারকে আলোকিত করতে সিলিং থেকে ব্যবহার করতে পারেন স্পটলাইট। তবে খেয়াল রাখবেন, স্পটলাইটের আলো যাতে হালকা রঙের হয়। হালকা রঙের ছায়া যেমন ঘরে আনে আভিজাত্যের ছোঁয়া, তেমনি চোখে আনে প্রশান্তি। যে ঘরের কর্নারই সাজান না কেন, আসবাব এবং আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের নকশা হতে হবে হালকা। চাইলে কোনার সাজানো ঘরে মেঝেতে বসার ব্যবস্থা করতে পারেন। পুরো ঘরের দেয়াল সাদা রেখে কোনায় রাখতে পারেন সুন্দর কোনো ভাস্কর্য। এভাবে আপনার ঘরটি যেমনই হোক, অল্প খরচে কর্নারটিকে সাজিয়ে ঘরে আনতে পারেন শৈল্পিকতার ছোঁয়া।