বসার ঘর কম খরচে সাজাতে পারবেন এই নিয়ম অনুসরণে
বাসায় প্রবেশ করার পর প্রথমেই নজর কাড়ে বসার ঘর। এ কারণে ঘরটি সাজানোর পেছনে সবচেয়ে বেশি শ্রম আর টাকা খরচ হয়ে যায়। চাইলেই কিন্তু খরচের লাগাম টেনে সাধ্যের মধ্যেই সুন্দর করে সাজিয়ে ফেলা যায় অতিথি আপ্যায়নের এই ঘর।
বসার ঘরের মূল আকর্ষণ সোফা আর আসবাব। তাই বলে এর পেছনেই সব টাকা ঢেলে দিতে হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা কিন্তু নেই। মেঝেতে কম খরচে মাদুর, শতরঞ্জি কিংবা শীতলপাটি দিয়ে বসার ব্যবস্থা করা যায়। এর ওপর ছোট–বড় কয়েকটি কুশন দিলেই স্টাইলিশ ভাব চলে আসবে। এ ছাড়া বিন ব্যাগ, ফোল্ডেবল টেবিল বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাড়িতে বয়স্ক ব্যক্তি থাকলে মাটিতে বসার ব্যবস্থার পাশাপাশি রাখতে হবে সোফা বা চেয়ার। অল্প খরচে নিতে পারেন বাঁশ কিংবা বেতের সোফা সেট ও টেবিল। পুরো বসার ঘরকে বাঁশ বা বেতের আসবাব দিয়ে সাজালে বেশ ভালো লাগবে।
ঘরকে আকর্ষণীয় করে তুলতে রঙের ভূমিকাও কম নয়। ঠিকঠাক রং নির্বাচন করলে ঘরের সৌন্দর্যও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। বসার ঘর তুলনামূলক ছোট হলে হালকা রংই থাকুক দেয়ালে। ঘর বড় দেখাবে। দেয়ালে যোগ করতে পারেন আয়না। এ ছাড়া স্টিকার ওয়াল আর্টের জনপ্রিয়তা বেশ বেড়েছে এখন। ঘর আলোকিত করতে টেবিল ল্যাম্প কিংবা বাতি ব্যবহার করতে পারেন। এতে অল্প খরচে ঘরে অভিজাত ভাব ফুটিয়ে তোলা সম্ভব।
বসার ঘরটি আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে গাছ ও ফুল। অন্যান্য আসবাবের তুলনায় গাছ তুলনামূলক বেশ সস্তা। চাইলে জানালায় ঝুলন্ত টব কিংবা ঘরের এক কোনায় রাখতে পারেন গাছ। এতে ঘরের পরিবেশ যেমন ঠিকঠাক থাকবে, তেমনি ঘরের সৌন্দর্যও বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। গাছ রাখা সম্ভব না হলে তাজা ফুলও ঘরের শোভা বাড়াবে। বাটিতে পানি দিয়ে ছড়িয়ে রাখতে পারেন ফুলের পাপড়ি।
বসার ঘরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো শোকেস। অনেকেই নামীদামি শোপিস দিয়ে ঘর সাজানোর চিন্তা করেন। মাটির পণ্য, টেরাকোটা দিয়ে সাজাতে পারেন শোকেস। ঘর সুন্দর করে সাজাতে আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রেও নজর দিতে হবে। জানালার পর্দা, টেবিল টপ, সোফার কুশন—এসব জিনিস ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে কয়েক গুণ।
এ ছাড়া বসার ঘরে জায়গা থাকলে তৈরি করতে পারেন বইয়ের তাক। বইপড়ুয়া যে কেউ ঘরে এসেই মুগ্ধ হবেন। সোফার পেছনের দেয়ালে যোগ করতে পারেন পেইন্টিং। দেয়ালটিও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। নিজের কোনো শখ থাকলে সেটারও বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারেন বসার ঘরে।