ল্যাম্পশেডের যত্ন নেবেন যেভাবে
অল্প একটু আলো ছড়ায়। এতেই বদলে যায় ঘরের চেহারা। মায়াবী পরিবেশ তৈরি করতে অনেকটা প্রতিযোগিতাই চলে বিভিন্ন নকশার ল্যাম্পশেডগুলোর মধ্যে। ঘর সাজানোর উপকরণ হিসেবে টেবিল ল্যাম্পের জনপ্রিয়তা সব সময়ই ছিল, আছে, থাকবে। বাজার ঘুরে নকশার বাহার দেখলে সেটা ভালোই বোঝা যায়। ল্যাম্পশেডগুলোতে সিল্ক, সুতি, খাদির কাপড়ের ব্যবহার চলছে অনেক দিন ধরেই। আধুনিক রূপ আনতে সহায়তা করছে ভিন্ন ধরনের উপকরণও। পুঁতি, তালপাতা, খেজুরপাতার পাশাপাশি শীতলপাটির উপকরণ দিয়েও এখন বানানো হচ্ছে টেবিল ল্যাম্পের শেড। টাই-ডাইয়ের নকশা, গামছার ওপর মোম বাটিকের কাজও করা হচ্ছে।
যে জিনিস তৈরিতে এত আয়োজন, সেটার যত্ন-আত্তি করা খুব সহজ।
সম্ভব হলে দিনে একবার ল্যাম্পশেডগুলো মুছতে হবে। তাহলে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে পানি দিয়ে ধোয়ার ঝামেলার মধ্যে আর পড়তে হবে না।
শেড সব সময় টেবিল ল্যাম্পের মূল মাপের (বেস) চেয়ে দ্বিগুণ প্রশস্ত হতে হবে এবং মোট উচ্চতার এক-তৃতীয়াংশ হওয়া উচিত। সুতরাং একটি ল্যাম্পের বেস যদি হয় ৬ ইঞ্চি, শেড কমপক্ষে ১২ ইঞ্চি প্রশস্ত হতে হবে। যদি বাতির মোট উচ্চতা (বাল্বসহ) ২৪ ইঞ্চি হয়, তবে শেডের উচ্চতা হতে হবে ৮ ইঞ্চি লম্বা।
আরও কিছু পরামর্শ
পরিষ্কার করার সময় শেড আলতোভাবে ধরে তারপর পরিষ্কার করুন, না হলে মোছার সময় শেডটি তার অবস্থান থেকে সরে যেতে পারে। অন্যান্য উপকরণের চেয়ে সুতি কাপড়ের শেড তাড়াতাড়ি ময়লা হয়ে যায়। ল্যাম্পশেড ধোয়ার সময় টুথব্রাশ ও গুঁড়া সাবান ব্যবহার করুন। প্রথমে শুকনা কাপড় দিয়ে শেডের ধুলা ঝেড়ে নিন। গুঁড়া সাবান পানিতে গুলিয়ে নিন। টুথব্রাশের মাধ্যমে ওপর থেকে নিচে, নিচে থেকে ওপরে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ধোয়ার পর বাতাসে শুকিয়ে নিন। কড়া রোদের মধ্যে দিলে শেডের কাপড় আঁটসাঁট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পুঁতি, কাগজ বা অন্য কোনো উপকরণ হলে ব্রাশ দিয়ে ধীরে ধীরে পরিষ্কার করুন। খেয়াল রাখতে হবে যে ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করছেন, সেটিতে যেন ময়লা না থাকে। আলো পাওয়ার জন্য শেডের ভেতরের ময়লাও পরিষ্কার করতে হবে।