খাবার ঘরের চেয়ার কেমন হবে
নতুন দম্পতিদের মধ্যে একজন হয়তো পছন্দ করেন আধুনিক ধাঁচ, আরেকজনের মন টানে রেট্রো স্টাইল। দুটি নকশাই নিয়ে আসা সম্ভব একটি খাবার টেবিলে।
তবে খাবার ঘর যে ধাঁচেই সাজাতে চান না কেন, খেয়াল রাখুন, ঘরটা কত বড়। এমনভাবে টেবিল-চেয়ার রাখতে হবে, যাতে আসবাবের সংখ্যা অতিরিক্ত মনে না হয়।
আবার পরিবারের সদস্যসংখ্যা অনুযায়ী প্রয়োজন মেটানোর দিকটাও মাথায় রাখতে হবে।
কাপড়, কৃত্রিম চামড়া বা রেক্সিনে মোড়ানো চেয়ার আধুনিক অন্দরসজ্জায় সমাদৃত। নিরপেক্ষ (নিউট্রাল) রংগুলো চলছে এখন। চাপা সাদা, ধূসর, রুপালি, বেজ, বাদামি কিংবা কফিরঙা চেয়ার বেছে নিতে পারেন।
কেউ কেউ অবশ্য প্রাণবন্ত রঙের ছোঁয়াও চান। সে ক্ষেত্রে এসব নিরপেক্ষ রঙের চেয়ারের মধ্যে দুটি চেয়ারের রং হতে পারে উজ্জ্বল।
ভিন্ন রঙের দুটি চেয়ার টেবিলের দুই পাশে রাখলে চমৎকার দেখাবে। এমনটাই বলছিলেন সৃষ্টি আর্কিটেকচার অ্যান্ড কনসালট্যান্সির প্রতিষ্ঠাতা স্থপতি তাসনিম তূর্যি।
রঙে ও উপকরণে বৈচিত্র্য
যদি সব চেয়ারের মধ্যে দুটি চেয়ারের জন্য ভিন্ন রং চান, তাহলে কোমল ধাঁচের ল্যাভেন্ডার, গাঢ় সবুজ, হালকা জলপাই, টিয়া বা কমলা রঙের মধ্যে যেকোনো রং বেছে নিতে পারেন। নীল আর ফিরোজার মিশেলে সৃষ্ট চাপা কোনো নীলাভ রং কিংবা নীলের অন্যান্য চাপা ধাঁচের শেডও সুন্দর দেখায়।
আবার নিরপেক্ষ রং একেবারেই না রাখতে চাইলে সব কটি চেয়ারই এ রকম রঙে করা যেতে পারে। চেয়ারের পুরোটাই হতে পারে ‘মোড়ানো’ ধরনের। কোনোটার আবার পিঠ ও আসন হয় ‘মোড়ানো’ ধরনের। পায়ায় থাকতে পারে কাঠ, বোর্ড বা ধাতব উপকরণ।
আকার-আকৃতিতে ভিন্নতা
চেয়ারের আকার-আকৃতি হতে পারে নানা রকম। কোনোটার নকশা আবার নিচ দিক থেকে চওড়া হয়ে ওপরের দিকে সরু হয়ে গেছে এমনও দেখা যায়। ঢেউখেলানো নকশাও হতে পারে। কাপড় মোড়ানো হলে কিন্তু চারকোনা চেয়ারেও খানিকটা গোলাকার ভাব চলে আসে।
আবার কোনো চেয়ারে হাতল থাকে, কোনোটিতে থাকে না। কোনোটির হাতল আবার মিশে যায় পিঠের অংশের সঙ্গে। সব মিলিয়ে অনেকভাবেই বৈচিত্র্য হতে পারে। আপনার পছন্দ ও বাজেট অনুযায়ী বেছে নিতে পারবেন পরিপাটি নকশার চেয়ার। তবে খেয়াল রাখবেন, দামের কারণে মানের সঙ্গে যেন আপস করতে না হয়। চাইলে খাবার টেবিলের এক দিকে কাঠের বেঞ্চও রাখতে পারেন।
ছোট্ট অন্দরে বেঞ্চের ব্যবস্থা রাখা ভালো। কম বয়সীরা বেশ আরাম করেই বসতে পারে এমন ব্যবস্থায়। বেতের চেয়ারে সাদা গদি বসিয়ে দিতে পারেন। বেতের টেবিলে বসানো কাচের ওপরে পাটের রানার, পাটের টেবিল ম্যাট বিছিয়ে দিতে পারেন।
নবদম্পতির অন্দর ভাবনায়
এটা ঠিক যে টোনাটুনির সংসারে খুব বড় টেবিল কিংবা আটখানা চেয়ারের প্রয়োজন নেই। অনেক নতুন সংসার শুরু হয় ছোট্ট বাসায়। সেখানে বড় আসবাব রাখার জায়গা নিয়েও বিপত্তি বাধতে পারে।
বাজেটও থাকতে পারে তুলনামূলক কম। সেসব বিষয় হিসাব–নিকাশ করলে ছোট্ট, ছিমছাম সংসারে ছোটখাটো টেবিল আর কমসংখ্যক চেয়ারই ভালো। তবে মাঝেমধ্যে সেই সংসারে অতিথিও তো আসতে পারেন।
সুযোগ থাকলে একটু বড় বা মাঝারি আকারের টেবিল আর ছয়টা চেয়ারের ব্যবস্থা করতে পারেন আপনি। পরিবারের সদস্যসংখ্যা, অতিথি ও অন্দরের জায়গা, এমন নানা দিক বিবেচনায় রেখে বেছে নিতে হবে নতুন সংসারের খাবার ঘরের চেয়ার।