রুনা খানের পছন্দ বারান্দা, টয়ার পছন্দ শোবার ঘর, বাকিদের?
সংগীতশিল্পী শেহতাজ মুনিরা হাশেম ও অভিনয়শিল্পী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, মাসুমা রাহমান নাবিলা, সুনেরাহ বিনতে কামাল ও রুনা খান জানালেন বাড়িতে তাঁদের প্রিয় জায়গার কথা।
সবারই বাসায় এমন একটি বা দুটি জায়গা থাকে, যেখানে কাটে দিনের বেশির ভাগ সময়। কর্মব্যস্ত দিন শেষে, বাসায় ফিরে সেই নির্দিষ্ট জায়গায় গেলেই মেলে স্বস্তি। তারকারা নিজ বাসার কোথায় স্বস্তি খোঁজেন? জানিয়েছেন সংগীতশিল্পী শেহতাজ মুনিরা হাশেম ও অভিনয়শিল্পী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, মাসুমা রাহমান নাবিলা, সুনেরাহ বিনতে কামাল ও রুনা খান।
নিজ হাতে তৈরি ফুলের বাগানে স্বস্তি পান রুনা খান
ছোটবেলা থেকে টাঙ্গাইলে, গ্রামের বাড়িতে প্রকৃতির মধ্যে বেড়ে উঠেছেন রুনা খান। শহরে চলে এলেও পেছনে ফেলে আসতে পারেননি গ্রামের সবুজ-সতেজ দৃশ্যপট। নিজের শহুরে বাসার বারান্দায় তৈরি করেছেন একটুকরা বাগান। নিজের হাতে লাগিয়েছেন প্রতিটি গাছ। হাসনাহেনা, জুঁই, বাগানবিলাস, অপরাজিতা, কৃষ্ণচূড়া ছাড়াও আছে অনেক গাছ; বেশির ভাগই ফুলের। দিনের সমস্ত ব্যস্ততার মধ্যেও গাছগুলোর যত্ন নিতে একদমই ভোলেন না রুনা খান।
বলেন, ‘আমার বারান্দার বাইরে থেকে ভেতরে গাছ ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। আবার ভেতর থেকেও বাইরে গাছ ছাড়া কিছুই দেখার উপায় নেই।’ গাছগুলো তাঁর সন্তানের মতো। এ ছাড়া নিজের বসার ঘরও প্রিয় রুনা খানের। সেখানে রাখা আছে ছোট্ট একটি সোফা। ছুটির দিনগুলোয় সেখানে স্বামী ও মেয়ের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটান তিনি। মা-মেয়ে মিলে বই পড়েন কিংবা তিনজন মিলে জমান আড্ডা।
শোবার ঘরে বেশি সময় কাটান টয়া
নিজের বিছানাকেই সবচেয়ে আরামের জায়গা মনে করেন অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া। বলেন, ‘সারা দিন কাজের পর দিন শেষে নিজের বিছানায় ফিরলে যে শান্তি লাগে, তা বলে বোঝানো যাবে না।’
নিজের একান্ত ব্যক্তিগত জায়গায় নিজের মতো করে সময় কাটাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। টয়ার শোবার ঘরে বিছানা ছাড়াও একটি আরামদায়ক সোফা ও টিভি আছে। সোফায় বসে গান শোনেন। আবার মাঝেমধ্যে টিভি দেখতে দেখতে শোবার ঘরেই রাতের খাবারের পর্বটা সেরে ফেলেন এই অভিনেত্রী।
পোষা পাখিদের প্রিয় জায়গা শেহতাজেরও প্রিয়
সম্প্রতি পরিবারের সঙ্গে নতুন বাড়িতে উঠেছেন শেহতাজ মুনিরা হাশেম। পোষা পাখি আর খরগোশও কিন্তু তাঁর পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বিকেলবেলায় নিজের বসার ঘরে তাদের ছেড়ে দেন শেহতাজ। সেখানে পাখিদের উড়ে বেড়ানো, ঘোরাঘুরি দেখে সময়টা বেশ কাটে।
বসার ঘরে কাচের দেয়াল থাকায় ভেতর থেকেই দেখা যায় বাইরের অসাধারণ শহুরে দৃশ্যপট। শেহতাজ বলেন, ‘আমাদের বাসাটি বেশ ওপরে হওয়ায় গোধূলির সময় আকাশ খুব সুন্দর দেখায়। এটাই আমার প্রিয় জায়গা।’
বাসার সব কোণই প্রিয় নাবিলার
বিয়ের পর পাঁচ বছর ধরে একটু একটু করে নিজের বাসার সবকিছু সাজিয়েছেন ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার নায়িকা মাসুমা রহমান নাবিলা। এখনো থেমে যাননি তিনি। বাসার সবকিছু গোছানো, পরিষ্কার রাখা ছাড়াও জিনিসগুলোর জায়গা বদল করে মাঝেমধ্যে বাসায় নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেন। বারান্দায় নিজ হাতে লাগিয়েছেন নানা ফুলের গাছ। সেগুলোর পরিচর্যা করলে নাকি মনের পরিচর্যাও হয়। বারান্দার সামনের বসার জায়গায় বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিতে কিংবা চা খেতে ভালোবাসেন নাবিলা।
বাসার প্রতিটি কোনাই খুব যত্ন নিয়ে সাজিয়েছেন এই অভিনেত্রী। বলেছিলেন, ‘নির্দিষ্ট করে একটি প্রিয় জায়গার নাম আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’ মন খারাপ হলে কোথায় বসে থাকেন, জানতে চাইলে হেসে বলেন, ‘মন খারাপ হলে তো একটাই জায়গা! সোজা শোবার ঘরে ঢুকে যাই। সেদিন আর বের হই না।’
নিজের ঘরই সবচেয়ে প্রিয় জায়গা সুনেরাহর
বাসায় থাকলে খাওয়াটাই শুধু খাবার টেবিলে সারেন ‘ন ডরাই’ সিনেমার নায়িকা সুনেরাহ বিনতে কামাল। বাকি পুরো সময়টা কাটে নিজের রুমে, নিজের বিছানায়। বই পড়তে ভালোবাসেন তিনি। তবে উজ্জ্বল আলোয় নয়। ঘরের ভেতর একান্তে মোম জ্বালিয়ে বই পড়েন। সেখানেই টিভি দেখেন। সুনেরাহ বলছিলেন, ‘জীবনের বড় বড় সিদ্ধান্ত আমি বিছানায় শুয়ে নিই। এটাই আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা।’