খালি ভুলে যান? মেনে চলতে পারেন এই টোটকাগুলো

পরিকল্পনায় রাখা দিনের দরকারি কাজটিও অনেক সময় মনে পড়ে না
মডেল: আফজাল। ছবি: প্রথম আলো

সকালে ফিটফাট হয়ে অফিসে বের হচ্ছেন। কেবল পকেটে মানিব্যাগ ভরা বাকি। কিন্তু সেটা আর কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছেন না। কিংবা সন্ধ্যায় বের হলেন বাসা থেকে। বউ পইপই করে বলে দিল কী কী কিনতে হবে। দুধ, ডিম আর কলা। কিন্তু দোকানে গিয়ে কিনলেন দুধ আর ডিম। কলার কথা আর কিছুতেই মনে পড়ল না। এমনটা আমাদের সঙ্গে প্রায়ই হয়। অনেক দিন পর কোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলেও বাধে বিপত্তি। খুব পরিচিত বন্ধু। অথচ তার নামটা কিছুতেই মনে আসছে না। এই দুর্বলতা কাটাতে মেনে চলতে পারেন নিচের টোটকাগুলো।

খেয়ে বাড়ান স্মৃতিশক্তি
এই টোটকাটা সবচেয়ে সহজ। একই সঙ্গে সুস্বাদুও বটে। কিছু খাবার আছে, সেগুলোতে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা আপনার স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর মাশরুম। খেতে পারেন ডার্ক চকলেট কিংবা দারুচিনি। আর খেতে পারেন সবজি। প্রায় সব সবজিই এ বাবদে বেশ কার্যকর।

আরও পড়ুন

ভালো সম্পর্কে মজবুত স্মৃতিশক্তি
মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে তার সম্পর্কগুলো। স্মৃতিশক্তির ক্ষেত্রেও এ কথা সত্য। কারণ, আপনি যখন সামাজিকভাবে একা হয়ে পড়বেন, তখন মস্তিষ্কের অ্যাস্ট্রোসাইটস কোষগুলো বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্কের সক্ষমতা ও স্মৃতি। তাই নিয়মিত আপনার সম্পর্কগুলো নিয়ে কাজ করুন। সেগুলোর ভালো ও মন্দ দিকগুলোর তালিকা করে সেগুলো সমাধান করুন।

নিশ্চিত করুন সুস্থ পরিবেশ ও জীবনাচরণ
সম্পর্কের পাশাপাশি আপনার স্মৃতিশক্তিকে প্রভাবিত করে চারপাশের পরিবেশও। আপনি যত উজ্জ্বল পরিবেশে থাকবেন, স্মৃতিশক্তি সবল থাকবে। বিপরীত ঘটবে ম্লান আলো-হাওয়ায় বাস করলে। একই কথা প্রযোজ্য জীবনাচরণের ক্ষেত্রেও। এমনকি আপনার ঘুম যদি সামান্য পরিমাণেও এদিক-সেদিক হয়, তাতেও আপনার স্মৃতিশক্তি প্রভাবিত হয়।

কাজে লাগান অবসর
স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী রাখতে অবসর সময়ে গড়ে তুলুন দারুণ কিছু অভ্যাস। এমন কিছু যেগুলো আপনার স্মৃতিশক্তিকে অনুশীলনের ভেতরে রাখবে। এমন একটা খুবই সহজ শখ হলো পাখি দেখা বা বার্ড ওয়াচিং। শুনতে সাধারণ মনে হলেও পাখি দেখতে গিয়ে আপনার মস্তিষ্ককে প্রচুর তথ্য গ্রহণ ও বিশ্লেষণ করতে হয়। কিংবা পড়তে পারেন বই। একেকবারে দেড় ঘণ্টার মতো। এমনকি বিভিন্ন শব্দের ধাঁধা, কুইজ ইত্যাদি খেলাও এ বাবদে আপনাকে ভালো সাহায্য করবে।

উল্টো হাঁটার উপকার
তবে সবচেয়ে অদ্ভুত কিন্তু কার্যকর উপায় হলো সামনে তাকিয়ে পেছনে হাঁটা। তবে রাস্তাঘাটে নয় অবশ্যই। ঘরে বা পরিচিত কোনো জায়গায়। গবেষকেরা এর একটা গালভরা নামও দিয়েছেন। নেমোনিক টাইম-ট্রাভেল ইফেক্ট। কারণ, এভাবে হাঁটার সময় আপনাকে পা ফেলতে হবে স্রেফ স্মৃতির ওপর নির্ভর করে।

তথ্যসূত্র: ইঙ্ক ডটকম