স্তনের কিছু সাধারণ পরিবর্তন বয়ে আনতে পারে বিপদের বার্তা। কিন্তু এ বিষয়গুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেন না। পরিণামে শরীরে বাসা বাঁধে ক্যানসার। এ কারণেই কিছু বিপৎসংকেত সম্পর্কে জানা থাকা জরুরি:
ফুসকুড়ি: স্তনে ঘামাচির মতো ছোট ছোট ফুসকুড়ি সাধারণত পাত্তা দেওয়া হয় না। এগুলোকে অ্যালার্জি বলেই ধরে নেন অনেকে। কিন্তু স্তনে, বিশেষ করে স্তনবৃন্তের আশপাশে এ ধরনের ফুসকুড়ি দেখা দিলে অবহেলা করা যাবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কুঁচকে যাওয়া: স্তনের চামড়া কুঁচকে যাওয়া বা টোল খাওয়া বিপদের লক্ষণ হতে পারে। স্তন ক্যানসারের প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে এটি একটি। এমন হলে হেলাফেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
চুলকানি: স্তনের বিভিন্ন অংশে চুলকানি হতে পারে। স্তনের ত্বক ভীষণ পাতলা। জোরে চুলকালে ছিলে যেতে পারে, কেটে যেতে পারে, রক্তপাতও হতে পারে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, চাপ লেগে রক্ত জমাট বেঁধে ব্যথা হতে পারে। তাই স্তনে ঘন ঘন চুলকানি হতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটিও একটি বিপৎসংকেত।
টোল পড়া: অনেকেরই স্তনের চামড়া ঢিলা থাকায় টোল পড়ে। মনে রাখা দরকার, কুঁচকে যাওয়ার মতো টোল পড়াও বিপদ। অর্থাৎ এটিও স্তন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। স্তনে হঠাৎ টোল পড়া শুরু করলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
চাকা অনুভব: মাসিক শেষ হওয়ার পর স্তন পরীক্ষা করা ভালো। কারণ, এ সময়ই পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, স্তনে কোনো চাকা বা গোটার উপস্থিতি আছে কি না। হাত দিয়ে ধরার পর যেকোনো চাকা অনুভব করলেই সতর্ক হতে হবে।
অ্যালার্জি: স্তনে বিভিন্ন কারণে অ্যালার্জি হতে পারে। অনেক সময় অন্তর্বাসের কারণেও এ সমস্যা হয়। কারণ যা-ই হোক, অ্যালার্জিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। কারণ, আপনি যেটা সাধারণ অ্যালার্জি ভাবছেন, সেটা হতে পারে স্তন ক্যানসারের লক্ষণ। এ অসুখে স্তনের চামড়ায় অ্যালার্জি বা একজিমার মতো পরিবর্তন আসে। যেমন লালচে ভাব, স্তনের চামড়া ও রঙে পরিবর্তন, স্তনের চামড়া উঠে যাওয়া ইত্যাদি।
কষ বা পুঁজ নিঃসরণ: স্তনবৃন্তের আশপাশে কোনো ক্ষত বা স্তনবৃন্ত থেকে যদি কষ বা পুঁজ বের হয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কারণ, এটাও হতে পারে ক্যানসারের মতো রোগের উপসর্গ।
ডা. এ টি এম কামরুল হাসান: অনকোলোজিস্ট, জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল