স্বাস্থ্যের কথা যদি বলি, এর কিছু সূচকের মধ্যে কোমরের মাপ আজকাল বেশ নজর কেড়েছে স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীদের। হঠাৎ করে কোমর ভারী হলে কিন্তু সাবধান হতে হবে।
পেটে চর্বি মানে সৌন্দর্যের বারো আনা উধাও। তাই কেউ চায় না পেটে চর্বি জমুক। কারণ, পেটের অন্দরে গভীরে ঘন চর্বি আর ভেতরের সব কলকবজার চারধারে চর্বি বিপদের সংকেত।
কোমর আর নিতম্বের অনুপাত আরও বেশি প্রযোজ্য। এর অনুপাত ঠিকঠাক না থাকলে বুঝে নিতে হবে, চর্বি জমেছে পেটে।
এখানেই শেষ নয়। এমন হলে আরও বিপদের সংকেত—ডায়াবেটিস, হৃৎস্বাস্থ্যের অবনতি এমনকি মগজের অধোগতি। ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশনের একটি গবেষণা বেরিয়েছে সম্প্রতি। সেখানে দাবি করা হয়েছে, কোমরের মাপের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে আলঝেইমার রোগ, ডিমেনশিয়া আর বুদ্ধিবৃত্তিক নানা সমস্যার।
গবেষকেরা পাঁচ হাজার মানুষের মানসিক অবস্থার সঙ্গে কোমর ও নিতম্বের অনুপাত দেখলেন। স্মৃতিশক্তি, ভাষার দক্ষতা আর অন্যান্য বুদ্ধির পরীক্ষাও হলো। এই অনুপাতের মান যত উঁচু, তাঁদের বুদ্ধিবৃত্তি পাওয়া গেল তত নিম্নগামী। তবে কেবল এই অনুপাত একমাত্র সূচক তা বলা যাবে না, পারিবারিক ইতিহাস, অন্যান্য অসুখের অবদানও থাকতে পারে।
কেন পেটে এত চর্বি জমে
চর্বি জমার কারণের মধ্যে বলা যায়, এ অংশে চলন–সঞ্চালন কম, তাই চর্বি জমার সুযোগ পায়। এ ছাড়া লিঙ্গ, বংশগতি, হরমোনের কারণেও জমে চর্বি।
পুরুষের শরীরে থাকে পুং হরমোন টেস্টস্টেরন, এ জন্য চর্বি জমার প্রবণতা বেশি। মেয়েদের আছে স্ত্রী হরমোন এস্ট্রোজেন, তাই চর্বি জমে উরু আর নিতম্বে। কিন্তু ঋতুস্রাব বন্ধ হলে হরমোন কমে যায়। তাই তখন তলপেটে চর্বি জমার প্রবণতা বাড়ে।