গ্রীষ্মের অতিরিক্ত গরমে ঘামাচির সমস্যা বাড়ে। এটি মূলত ঘর্মগ্রন্থির সমস্যা। শরীরে ঘাম তৈরি হলে ওই গ্রন্থির মাধ্যমে তা ত্বকের উপরিভাগে চলে আসে। প্রচণ্ড গরমে ঘাম অনেক বেশি তৈরি হয়। তখন এত বেশি পরিমাণ ঘাম ঘর্মগ্রন্থির ছিদ্রপথে বেরোতে পারে না। ফলে ত্বকের নিচের ঘর্মগ্রন্থি ফেটে যায়। তখন ত্বকে ছোট ছোট লালচে ফোসকা পড়ে। এর ভেতরে পুঁজ জমতে পারে। দীর্ঘদিন জ্বরে ভুগলে কিংবা কোনো কারণে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকলেও ঘামাচি হতে পারে। এ সমস্যায় শরীরে চুলকানি, হুল ফোটানোর মতো অনুভূতি এবং নানা রকমের অস্বস্তি হয়ে থাকে।
এড়ানোর উপায়
* অতিরিক্ত গরমে প্রচুর পানি পান করা উচিত।
* প্রতিদিন কমপক্ষে দুবার গোসল করা প্রয়োজন। প্রতিদিন অন্তত একবার গোসলের সময় সাবান মাখতে হবে।
* ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে।
ঘামাচি হলে কী করবেন
* ঘামাচির সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। পাউডার ব্যবহার করলে পরদিন অবশ্যই ভালোভাবে সাবান লাগাতে হবে।
* ঘামাচি হলে ঠান্ডা জায়গায় থাকা আবশ্যক। আক্রান্ত ব্যক্তি অন্তত ২৪ ঘণ্টা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে থাকলে ঘামাচি উপশম হবে।
* বাজারে ঘামাচি প্রতিকারের বিভিন্ন সাবান ও ক্যালামিনা লোশন পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহার করলে কিছুটা স্বস্তি মেলে।
* অবৈজ্ঞানিক উপায়ে চিকিৎসা নিলে সাধারণ সমস্যা থেকেই নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে।
ডা. তুষার সিকদার
চর্মরোগ বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: শুকনো চাল বা ভাজা চাল খাওয়া কি খারাপ?
উত্তর: শুকনো চাল খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত নয়। অপরিষ্কার চাল খেলে নানান রকম পেটের পীড়ায় ভুগতে হতে পারে। এ ছাড়া সরাসরি চাল হজম করতে সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘদিন এভাবে চাল খেলে সঠিকভাবে পরিপাক না হওয়া চালের অংশ খাদ্যনালিতে জমে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে পারে। অনেক সময় রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এ ধরনের বিচিত্র খাবার গ্রহণের প্রবণতা দেখা যায়। তাই এ ক্ষেত্রে রক্তশূন্যতা রয়েছে কি না, তা জেনে নেওয়া ভালো।
অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ, মেডিসিন
বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল