বাংলাদেশের ছোট ও বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান। মাছে-ভাতে বাঙালি বলে যে কথাটা আছে, সেটা রুনা খানের বেলায় শতভাগ খাটে। যেকোনো সাধারণ বাঙালির মতো তিনি ভাত–মাছ খেতে ভালোবাসেন। মাছের মধ্যে ইলিশ তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। ইরিশের বিভিন্ন পদের ভেতর তাঁর সবচেয়ে প্রিয় দোপেঁয়াজা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাবার চেখে দেখার সুযোগ হয়েছে রুনা খানের। থাই, চাইনিজ, জাপানিজ, ইতালীয়, মোগলাই—নানান দেশের নানান পদ খেয়েছেন রুনা। তবে সব খাবারের মধ্যে ভাতই তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। জেনে নেওয়া যাক সারা দিনে যা খান এই অভিনেত্রী।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাবার চেখে দেখার সুযোগ হয়েছে রুনা খানের। থাই, চাইনিজ, জাপানিজ, ইতালীয়, মোগলাই—নানান দেশের নানান পদ খেয়েছেন রুনা। তবে সব খাবারের মধ্যে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় ভাত।
সকালের নাশতা
সকালে রুনাদের বাসায় ভাত বা রুটি কোনোটাই চলে না। তাঁরা তিন সদস্য। রুনা খান, তাঁর স্বামী এষণ ওয়াহিদ ও তাঁদের ১১ বছর বয়সী মেয়ে রাজেশ্বরী। তাঁরা তিনজনই সকালে ব্রেড, বাটার, ডিম পোচ বা সেদ্ধ, কর্নফ্লেক্স আর দুধ খান। সকাল আর দুপুরের খাওয়ার মধ্যে মৌসুমি ফল খান। ইদানীং খাচ্ছেন আম, কাঁঠাল, লিচু। মাঝেমধ্যে রাতে ভিজিয়ে রাখা আলমন্ড খান মা–মেয়ে।
দুপুরের খাবার
দুপুরে রুনা খান ভাত, এক পদের শাক, এক পদের সবজি, ডাল, মাছ বা মাংস খান। দিনে একবেলা ভাত খান। সেটা এই দুপুরেই। বিয়েবাড়িতে গেলে পোলাও, রোস্ট বা কাচ্চি খেতে পছন্দ করেন রুনা খান। দুপুর আর রাতের খাবারের মধ্যে বিকেলের দিকে রুনা এক মগ কফি খান।
রাতের খাওয়া
রাতে রুনা খান একটা বা দুটি রুটি খান। রুটির সঙ্গে থাকে সবজি আর মুরগির মাংস।
প্রতি বৃহস্পতিবার মেয়ের পছন্দমতো অনলাইনে খাবার অর্ডার করেন। পিৎজা, বার্গার বা চাইনিজ। সেখানে বাবা-মেয়ের খাবারে মাঝেমধ্যে ভাগ বসান রুনা। আর লকডাউন না থাকলে বৃহস্পতিবার বন্ধু বা পরিবারের অন্য সদস্যদের বাড়িতে ডেকে আড্ডা দিতেন। সে রাতে অনলাইন থেকে অতিথিদের পছন্দমতো খাবার অর্ডার করতেন।
মহামারিকাল শুরু হওয়ার আগে রুনা খানরা শুক্র বা শনিবার, দুপুরে বা রাতে বাইরে খেতেন। এটাই নাকি সপ্তাহান্তে তাঁদের একমাত্র ‘লাক্সারি’। রুনার কাছে তাঁর মায়ের হাতের রান্না সবচেয়ে প্রিয়। তাঁর মা যা রান্না করেন, তা–ই ভালো লাগে। তবে নিজে নাকি রান্না বিশেষ পারেন না। বললেন, ‘আমি রান্নাটা মন দিয়ে শেখার সময়ই পাইনি। কলেজে পড়ার সময় থেকেই থিয়েটার করি। বিশ্ববিদ্যালয়জীবন আর ক্যারিয়ার একসঙ্গে শুরু হয়েছে। তবে আমি যা-ই রান্না করি, আমার মেয়ে ও মেয়ের বাবা তা পছন্দ করে।’