উষ্ণ জলে গোসলের উপকারিতা জানতে চান?
শীত এলেই অনেকে গোসলে আলসেমি করেন। ঘেঁষতে চান না পানির কাছে। দিনের পর দিন গোসল না করে থাকা কোনো কাজের কথা নয়; বিশেষ করে বাইরের ধুলাবালু গায়ে মেখে বাসায় ফেরার পর। তাই অনেকে ঠান্ডা পানির সঙ্গে হালকা উষ্ণ পানি মিশিয়ে গোসল সারেন। হালকা গরম পানিতে গোসল করলে মিলবে বিশেষ সুবিধা। সে কথাই জেনে নিন এখানে
১. উষ্ণ পানিতে গোসল ওজন কমাতে সাহায্য করে। গোসলের সময় উষ্ণ পানি বিপাকের ওপর প্রভাব ফেলে, যা ওজন কমাতে হয় হিতকর। তাই যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, হালকা গরম পানিতে গোসল করে তাঁরা নিজের অজান্তেই নিজের উপকার করছেন।
২. নাক বন্ধে বেশ উপকারী গরম পানিতে গোসল। শীতে অনেকেরই ঠান্ডাজনিত সমস্যায় নাক বন্ধ হয়ে যায়। গরম পানিতে গোসল খুলবে নাকের বন্ধ দুয়ার। বাষ্প বেরোচ্ছে—এমন পানিতে গোসল করে ভালো ফল মিলবে। তাই নাক বন্ধের সমস্যা যাঁদের আছে, তাঁরা গরম পানিতে গোসল করতে পারেন।
৩. ঋতুস্রাবের ব্যথা কমাবে গরম পানি। নারীদের পিরিয়ড চলাকালে গরম পানিতে গোসল ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৪. গরম পানিতে ডিটক্স হবে। এ কাজে ঠান্ডা পানিও উপকারী। তবে উষ্ণ পানি বেশি কাজের। গরম পানি শরীরে দিলে ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে আসবে দূষিত সব।
৫. অকালে বুড়ো হওয়া ঠেকাতে পারে নিয়মিত হালকা গরম পানির গোসল। গরম পানির গোসলে শরীর থেকে নিয়মিত বেরিয়ে আসে টক্সিন। তাই ত্বকে অকালে বার্ধক্য বাসা বাঁধতে পারে না। ত্বক থাকে সতেজ। চেহারায় ধরা থাকে তারুণ্য।
৬. ব্রণের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন গরম পানিতে গোসল করলে। গরম পানি দ্রুত ত্বক পরিষ্কার করে, তাই ব্রণের ঝামেলা কম হবে।
৭. নাই হয়ে যাবে মাইগ্রেনের সমস্যা। গরম পানিতে গোসল এই সমস্যা কমাবে। সাধারণত, ঠান্ডায় রক্ত চলাচল করতে পারে কম, এ কারণে মাথাধরা আর মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ে। উষ্ণ পানিতে গোসল বাড়াবে রক্তের চলাচল আর কমাবে মাইগ্রেনের আশঙ্কা।
৮. শীতে আরও কিছু সমস্যা দেখা যায় অহরহ। হঠাৎ ঘাড়, কাঁধ, গলার পেশিতে টান পড়ে। গরম পানিতে গোসলে এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
এবার তাই নিজেই ঠিক করুন উষ্ণ পানিতে কেন গোসল করবেন। ‘এসো করো স্নান নবধারাজলে’, কী সুন্দর গান, তাই না?