ঈদে মজাদার সব খাবারের আয়োজন থাকে ঘরে ঘরে। চাইলেও এসব খাবার অনেকেই না খেয়ে পারেন না। পবিত্র রমজান মাসজুড়েও নানা রকম ভাজাপোড়াসহ মুখরোচক খাবার খাওয়া হয়। ঈদের পর তাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে ফেরার চেষ্টা করা দরকার। সুস্থ থাকতে বাড়তি ওজন, মেদ ঝেড়ে ফেলা দরকার। ঈদ–পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় যা থাকা উচিত:
সকালের খাবার
ঘুম থেকে উঠে কিছু সময় হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস বা আদার রস কিংবা জিরা–পানিও খেতে পারেন। ২০-৩০ মিনিট পর লাল আটার রুটি, এক বাটি সবজি, একটি সেদ্ধ ডিম খেতে পারেন। খাওয়ার পর টক দই বা দইয়ের লাচ্ছি করেও খেতে পারেন। কিছুটা সময় গড়ালে এক কাপ চিনি ছাড়া চা অথবা গ্রিন টি খেতে পারেন।
দুপুরের খাবার
এক কাপ ভাত, শাক-সবজি, মাছ অথবা মুরগির মাংস, পাতলা ডাল, আধা বাটি সালাদ খাবেন। প্রচুর পরিমাণে তাজা শাক-সবজি খেতে হবে। মাছ খেতে পারেন বা কম তেল, মসলা ও সবজি যোগ করে মাংস একটু ঝোল করে রান্না করে খেতে পারেন।
বিকেলের খাবার
ফাস্ট ফুড বা তেলেভাজা খাবার, চানাচুর, বিস্কুট না খেয়ে তাজা ফল বা সবজির স্যুপ, এক মুঠ বাদাম খেতে পারেন। সন্ধ্যার পর এক গ্লাস ননিবিহীন দুধ খেতে পারেন।
রাতের খাবার
পাতলা রুটি, সবজি, এক টুকরা মাছ, ডাল, সালাদ খেতে পারেন। যাঁরা ভাত খেতে চান, তাঁরা অল্প করে ভাতও খেতে পারেন। ওজন কমাতে চান যাঁরা, তাঁরা ওটস বা চিড়ার সঙ্গে দই বা দুধ যোগ করে খেতে পারেন। রাতের খাবার সাড়ে সাতটার মধ্যে শেষ করতে পারলে ভালো। তবে কোনোভাবেই সাড়ে আটটার পর খাওয়া যাবে না।
আর যা করণীয়
এখন গরম পড়েছে। তাই পানি বেশি আছে এমন সবজি, আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। লাউ, পেঁপে, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, পটোল, মিষ্টিকুমড়া, বরবটি, ধুন্দুল, গাজর, টমেটো, শসা খাদ্যতালিকায় রাখার চেষ্টা করুন।
প্রচুর পরিমাণে পানি, ডাবের পানি, চিনি ছাড়া ফলের শরবত খান।
যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা অতিরিক্ত ক্ষুধা কমাতে খাওয়ার ১০-১৫ মিনিট আগে ১-২ গ্লাস পানি খেতে পারেন।
খাওয়ার সময় বেশি করে সবজি ও সালাদ খাবেন। এতে ক্ষুধা কম লাগবে, খাওয়ার
চাহিদা কমবে।