ইনহেলার নিতে স্পেসার কেন?

গরমে ঘেমে ও বৃষ্টিতে ভিজেও হাঁপানি রোগীদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে। শ্বাসকষ্টের জন্য হাঁপানি রোগীদের মূলত ইনহেলার ব্যবহারের চিকিৎসা নিতে হয়। নানা ধরনের ওষুধ এই ইনহেলারের মধ্যে থাকে। তবে ইনহেলারের ওষুধের কার্যকারিতা পুরোপুরি পেতে এর সঙ্গে একটা স্পেসার ব্যবহার করতে অনেকেই ভুলে যান। অথচ খুব সহজ এই প্রযুক্তি ওষুধের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।

স্পেসার আসলে একটি নল বা চেম্বার, যা একদিকে ইনহেলার ও অন্যদিকে রোগীর মুখের মাঝে সংযোগ রক্ষা করে। যেদিকে মুখ লাগানো হবে, সেখানে একটি মাউথপিস মাস্ক আছে, যা একটি ভালভ বা সুইচের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই ভালভ শ্বাস নেওয়ার সময় খোলে ও বের করে দেওয়ার সময় বন্ধ হয়ে যায়। বিপরীত দিকটি ইনহেলারের মাউথপিসের সঙ্গে যুক্ত করতে হয়। এখন দেখা যাক এর উপকারিতা কী কী?

*  সরাসরি ইনহেলার না নিয়ে স্পেসারের মাধ্যমে নিলে ওষুধ শ্বাসতন্ত্রে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে প্রবেশ করে। ফলে ওষুধের কার্যকারিতা বাড়ে। শুধু ইনহেলারের মাধ্যমে নিলে অনেকটা ওষুধ নষ্ট হয়।

*  শিশু ও বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে ইনহেলার থেকে শ্বাস নেওয়া একটু জটিল ব্যাপার। স্পেসার ব্যবহার করলে তাদের জন্য বিষয়টা সহজসাধ্য হয়।

*  ইনহেলারের তুলনায় স্পেসারের ভেতর স্প্রে করা ওষুধ বেশি সময় ধরে বাতাসে ভাসমান অবস্থায় থাকে ও বেশি সময় ধরে টানা যায়। ফলে ওষুধ ঠিকমতো শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করতে পারে।

*  ইনহেলারের মাধ্যমে নেওয়া স্টেরয়েড ওষুধ থেকে মুখে ছত্রাকজনিত ঘা বা স্বর মোটা হয়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে। শ্বাসতন্ত্রে না গিয়ে মুখ দিয়ে পেটে ওষুধ চলে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে। স্পেসার ব্যবহার করলে এই সমস্যাগুলো অনেকটাই কমে।

স্পেসার ব্যবহারের নিয়ম: ইনহেলার ঝাঁকিয়ে নিয়ে এর মুখ স্পেসারের ছিদ্রের সঙ্গে লাগান। অন্য দিকটি মুখের ভেতর নিন। ইনহেলারের ওষুধ স্পেসারের ভেতর চাপ দিয়ে ঢুকিয়ে দিন। এবার ধীরে ধীরে স্পেসার থেকে শ্বাস নিতে থাকুন। ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড সময় পাওয়া যায় স্পেসারের কারণে। তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী আবার ইনহেলারে চাপ দিন।