ভেঙে রাখা বা পাতা থেকে খোলা ওষুধ খেলে কি কাজ হবে?
যেকোনো রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধ খাওয়ার একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকে। অনেক সময় কোনো ওষুধের অর্ধেকটা খেতে বলা হয়। এখন বাকি অর্ধেকটা কি তাহলে ফেলে দেওয়া ভালো, নাকি পাতার মধ্যে মুড়ে রেখে পরদিন খাওয়া যাবে? আবার অনেক সময় পাতা থেকে ওষুধ খুলে অনেকেই বোতলে ভরে রাখেন। এভাবে ওষুধ সেবন করলে সেটা ঠিকভাবে কাজ করে কি না, সেটা নিয়ে অনেকের মধ্যে ভাবনা কাজ করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন সব প্রশ্নের উত্তর।
ওষুধের বোতল খোলার পর কত দিন পর্যন্ত তা ব্যবহার করা যাবে?
কৌটার ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল হলে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত সেটা ব্যবহার করা যাবে। তরল ওষুধ বা সিরাপ হলে সেটা ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহার করুন।
তরল অ্যান্টিবায়োটিকের বোতল খোলার পর ১ থেকে ২ সপ্তাহ সেটা ভালো থাকে।
চোখের বা কানের ড্রপ ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
ক্রিমজাতীয় ওষুধ হলে ৪ সপ্তাহ মানে ১ মাস ব্যবহার করা যায়।
ভাঙা ওষুধ সেবন করা যাবে কি?
একান্ত বাধ্য না হলে ভাঙা ওষুধ সেবন না করাই ভালো। তবে বাধ্য হলে ভাঙা ওষুধ সেবন করা যাবে। এর আগে কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ওষুধ সেবনের আগে এর রং, গন্ধ, বাহ্যিক গঠন অপরিবর্তিত থাকতে হবে। ভাঙা ওষুধ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেবন করতে হবে।
ভাঙা ওষুধ কীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে?
ওষুধ সংরক্ষণের ব্যাগে ওষুধের নাম ও খোলার তারিখ লিখে রাখতে হবে।
ওষুধের অবশিষ্টাংশ বায়ুরোধী ব্যাগ বা প্যাকেটে সংরক্ষণ করতে হবে।
প্যাকেটের গায়ে ওষুধ সংরক্ষণের জন্য যে তাপমাত্রা লেখা আছে, সে তাপমাত্রায়ই সংরক্ষণ করতে হবে।
খোলা ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে।
অধিক তাপ, আলো ও বাতাস প্রবেশ করতে পারে না, এমন জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক নিয়মে ওষুধ সংরক্ষণ করতে হবে।
ওষুধের মেয়াদের তারিখ সচেতনতার সঙ্গে খেয়াল করতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।
ওষুধের মেয়াদসম্পর্কিত তথ্য
ওষুধের গায়ে বা কৌটায় মেয়াদের তারিখসম্পর্কিত যেসব শব্দ লেখা থাকে, তার যথাযথ অর্থ আমাদের অনেকেরই অজানা। যেমন: ‘Expire date January, 24’ এই লেখার মানে হলো, ওষুধটি খাওয়া যাবে ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ পর্যন্ত। আবার যদি লেখা থাকে ‘Use by January, 24’, এই কথাটির মানে হলো—ওষুধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে। কোনো ওষুধে যদি লেখা থাকে ‘Use before January, 24’ এর মানে হলো—ওষুধের মেয়াদ আছে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সাল পর্যন্ত।
ওষুধ যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করলে মারাত্মক অঘটন ঘটে যেতে পারে। তাই সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং নিয়ম মেনে ওষুধ সেবন করতে হবে।