ইনহেলার ব্যবহারে সতর্ক থাকবেন যেভাবে

নানা রকমের ইনহেলারের মধ্যে একেকটিতে একেক ধরনের ওষুধ থাকেছবি: পেক্সেলস

হাঁপানি ও ব্রঙ্কাইটিসের রোগীদের প্রায় প্রতিদিনই ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়। নানা রকমের ইনহেলারের মধ্যে একেকটিতে একেক ধরনের ওষুধ থাকে। সে অনুযায়ী থাকে ব্যবহারের নিয়মকানুন।
সালবিউটামল ও ইপ্রাট্রপিয়াম–জাতীয় ওষুধ আছে, এমন ধরনের ইনহেলার নেওয়ার ফলে মুখে সাধারণত ঘা বা সংক্রমণ হয় না। তাই এই ইনহেলার নেওয়ার পর কুলি করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে সালবিউটামল ব্যবহার করার পর কারও কারও বুক ধড়ফড় করা অস্বাভাবিক নয়।
কিন্তু স্টেরয়েড আছে, এমন ইনহেলার অথবা সালবিউটামল ও ইপ্রাট্রপিয়াম–জাতীয় ওষুধের সঙ্গে স্টেরয়েড–জাতীয় ওষুধ মিশ্রিত আছে, এমন ইনহেলার নিলে মুখে ঘা বা সংক্রমণ হতে পারে।

স্টেরয়েড–জাতীয় ইনহেলার ব্যবহারের কারণে ইস্ট সংক্রমণ হতে পারে, যা মুখের ক্যান্ডিডিয়াসিস বা ফাঙ্গাল সংক্রমণ নামে পরিচিত। কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
করণীয়:
১. ইনহেলার নেওয়ার সময় মুখের ভেতর স্প্রে করা ওষুধ নিশ্বাসের সঙ্গে টেনে ফুসফুস পর্যন্ত নিতে হয়। তা না করলে স্প্রে করা ওষুধ মুখেই লেগে থাকে এবং পরবর্তী সময়ে সংক্রমণ ঘটায়। তাই সঠিকভাবে ইনহেলার নিতে পারলে মুখে ঘা বা সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা কমে আসে।
২. ইনহেলার ব্যবহারের পর পানি দিয়ে মুখের ভেতর ভালোভাবে পরিষ্কার বা কুলি করে নিলে জিবে বা মুখে ঘা হবে না।
৩. মুখ ও দাঁতের যত্ন নিতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে। ঘুম থেকে উঠে ও ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। প্রয়োজনে মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. পুষ্টিকর খাবার, ভিটামিন, খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পূরক খাবার ও সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
৫. এরপরও যদি জিবে বা মুখে ঘা থেকে যায়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।