২০২২ সালের এক সমীক্ষায় এসেছে ‘বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনে ৮ থেকে ১০ জন কিডনি সমস্যায় ভুগছেন, অথচ তিনি জানেন না। বিশ্বের জনসংখ্যায় তা ১০০ জনে প্রায় ২৩ জন। প্রাণঘাতী এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধার আগেই জেনে নেওয়া যাক কিডনি রোগের প্রাথমিক ও গুরুতর লক্ষণগুলো কী কী।
শরীরের দুটি কিডনির ৭০-৮০ ভাগ নষ্ট হওয়ার আগে কোনো ধরনের গুরুতর লক্ষণই দেখা দেয় না। তবে শুরুতেই দেখা যেতে পারে নিচের লক্ষণগুলো। যেমন—
● অতিরিক্ত দুর্বলতা।
● ক্ষুধামান্দ্য বা খাওয়ার অনিচ্ছা।
● কোনো কারণ ছাড়াই বমি বমি ভাব।
● কোনো চর্মরোগ ছাড়াই শরীর চুলকানো এবং চামড়া শুষ্ক হয়ে যাওয়া।
● প্রস্রাবে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ হওয়া।
● প্রস্রাবে বেশি বেশি ফেনা তৈরি হওয়া।
● স্বাভাবিকের চেয়ে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ও পরিমাণে অল্প প্রস্রাব হওয়া।
গুরুতর লক্ষণ
● প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া।
● তলপেটে ব্যথা।
● কোমরের অথবা নাভির দুই পাশে ব্যথা।
● প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত আসা বা প্রস্রাবের রং লালচে হওয়া।
● চোখের নিচে বা মুখে পানি আসা বা চোখ–মুখ ফুলে যাওয়া বা শরীর ফুলে যাওয়া।
● যাদের কখনোই উচ্চ রক্তচাপ ছিল না, তাদের উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেওয়া, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হওয়া।
● মাংসপেশিতে ঘন ঘন টান লাগা বা রগে টান লাগা।
এবং ওপরের এসব লক্ষণের সঙ্গে জ্বর আসা।
ওপরের এসব লক্ষণ দেখা দিলে আপনার অবশ্যই উচিত একজন কিডনি বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া। তবে যাঁদের বহুমূত্র রোগ (ডায়াবেটিস), উচ্চ রক্তচাপ আছে, যাঁদের ওজন বেশি, যাঁরা বেশি বেশি লবণ খান, যাঁরা ধূমপান করেন, যাঁদের বংশে কিডনি রোগী আছে এবং যাঁদের ঘন ঘন প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়, তাঁরা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বছরে অন্তত দুবার কিডনির পরীক্ষা করিয়ে
নেওয়া ভালো।
ডা. হিমেল বিশ্বাস, রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা