বাড়ছে করোনা, মাস্ক ব্যবহারে এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখছেন তো?
আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। প্রতিরোধের অন্যতম হাতিয়ার মাস্ক। তাই আবার ফিরিয়ে আনতে হবে মাস্ক ব্যবহারের অভ্যাস।
রোজকার ব্যবহারের জন্য সার্জিক্যাল মাস্ক কিংবা তিন স্তরের কাপড়ের মাস্ক যেকোনোটাই বেছে নেওয়া যায়। তবে যখন হাসপাতাল বা ডাক্তারের চেম্বারে যাচ্ছেন কিংবা এমন ব্যক্তির আশপাশে যাচ্ছেন, যার মধ্যে জ্বর, কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট বা করোনা সংক্রমণের অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তখন সার্জিক্যাল মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতেই সার্জিক্যাল মাস্ক একবারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। আর সার্জিক্যাল কিংবা কাপড়ের মাস্ক, যেটিই ব্যবহার করা হোক, একটানা চার থেকে ছয় ঘণ্টার বেশি পরে থাকা যাবে না। রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের মেডিসিন বিভাগের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট তাসনোভা মাহিন জানালেন এমন কিছু তথ্য।
মাস্ক স্পর্শ করা
মাস্ক পরা ও খোলার সময় এর স্ট্র্যাপ ধরতে হবে, মুখ ও নাক যে অংশ দিয়ে আবৃত থাকবে, সে অংশ নয়। মাস্ক পরার পরেও এই অংশ স্পর্শ করবেন না।
মাস্ক খুলে রাখা
খাওয়াদাওয়া বা অন্য প্রয়োজনে কাপড়ের মাস্ক খুলে রাখতে হলে আলাদা পরিষ্কার পাউচ বা জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করুন। এমন কিছুর ব্যবস্থা না থাকলে পরিষ্কার কাগজের প্যাকেট, কাগজ কিংবা টিস্যু পেপার দিয়ে মুড়িয়ে রাখুন। টেবিল, ডেস্ক বা অন্য কোথাও ফেলে রাখবেন না; থুতনিতে নামিয়েও রাখবেন না।
মাস্কের সময়সীমা
চার থেকে ছয় ঘণ্টার আগেই যদি ঘাম, পানি, নিজের হাঁচি-কাশি বা নাক-মুখের নিঃসরণ এমনকি মেকআপ লেগে মাস্ক ভিজে যায়, তাহলে তা বদলে ফেলুন। তাই সব সময় পর্যাপ্ত মাস্ক সঙ্গে রাখুন। ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত মাস্কের জন্য আলাদা আলাদা পাউচ বা জিপলক ব্যাগ রাখুন। নিয়মিত ধুয়ে ব্যবহার করা হলেও একটি কাপড়ের মাস্ক দুই থেকে তিন মাসের বেশি সময় ধরে ব্যবহার না করাই ভালো।
ধোয়া ও রোদে শুকানো
ব্যবহৃত কাপড়ের মাস্ক, সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে, শুকিয়ে পুনরায় ব্যবহার করা যায়। শুকানোর সময় মাস্কের স্ট্র্যাপে ক্লিপ আটকে দিন, যাতে কাপড় শুকানোর দড়ি বা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে মাস্কের বাকি অংশ লেগে না যায়।
উঠিয়ে রাখা
কাপড়ের মাস্ক উঠিয়ে রাখার জন্যও পরিষ্কার পাউচ বা বায়ুরোধী জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করুন। তবে বেশ কিছুদিন আগে উঠিয়ে রাখা মাস্ক যদি ব্যবহার করতে হয়, তাহলে আবার ধুয়ে নেওয়া উচিত, নইলে তা নিজেই ছত্রাক বা অন্য কোনো জীবাণুর উৎস হয়ে দাঁড়াতে পারে।