পিরিয়ডের সময়ের অস্বস্তি দূর করতে কী খাবেন, কী করবেন
ঋতুচক্রের সঙ্গে পরিবর্তিত হয় নারীর শরীর ও মনের অবস্থা। এই সময় মনের অবস্থা হয় কখনো মেঘলা, কখনো রোদঝলমলে। পিরিয়ড বা ঋতুচক্রের সময় যদি শরীর অনেক দুর্বল লাগে, মানসিক অবসাদ পেয়ে বসে, অবশ্যই তা নিরাময় করতে হবে। তাই মাসিকের সময়টাতে ভালো থাকার জন্য বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন
মাসিকের সময় বেশি চিনিযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। এসব খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে মুড সুইং করে। এ সময় শস্যজাতীয় ও আঁশযুক্ত খাবার এবং সবজি খেলে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ে।
সেরোটোনিন বাড়ান
শরীরে সেরোটোনিন নামের একটি নিউরোট্রান্সমিটার আছে, যা মানুষের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে। মাসিকের সময় সেরোটোনিন কমে যায়। যেসব খাবারে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে, তা এ সময় গ্রহণ করা উচিত। যেমন মুরগি, ডিম, বাদাম, টফু, বিচিজাতীয় খাবার, যা সেরোটোনিন বাড়াতে সাহায্য করে।
নিয়মিত ভিটামিন ‘বি’ গ্রহণ করুন
বিষণ্নতা ও শারীরিক অস্বস্তি দূর করতে ভিটামিন বি–৬-এর জুড়ি নেই। মুরগির মাংস, মাছ, ডিম, সবুজ শাকসবজি, ডালজাতীয় খাবার ও বিভিন্ন সিরিয়াল ভিটামিন বি-৬–এর খুব ভালো উৎস।
ভেষজ চা পান করুন
ক্যামোমাইল, পিপারমিন্ট, আদা চায়ে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে। মাসিকের সময় দিনে কয়েকবার এসব চা পান করলে মিলবে আরাম।
কায়িক পরিশ্রম করুন
নিয়মিত শরীরচর্চা করলে এনডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। তাই মাসিকের সময়টাতে শরীর ও মন ভালো রাখতে হাঁটা, ব্যায়াম, নাচ বা যোগব্যায়াম চালিয়ে যান।
ধ্যানের জুড়ি নেই
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে ভালো থাকতে চাইলে ধ্যান চর্চা করুন। এ ছাড়া নিয়মিত শ্বাসের ব্যায়াম করুন, যা মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি শরীরেও আনবে সতেজতা।
আবেগ প্রকাশ করুন
ঋতুচক্রের এই সময়ে মেয়েরা কিছুটা বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। নিজের আবেগকে প্রকাশ করুন। প্রিয় কোনো মানুষ বা বন্ধুর সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। নিজের পছন্দের কাজগুলো করার চেষ্টা করুন। এতে মিলবে আনন্দ আর প্রশান্তি।
অন্যের সাহায্য নিন
মাসিকের সময় শরীর ও মন যদি বেশি খারাপ মনে হয়, তা হলে পরিবার বা বন্ধুকে জানান। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেক সময় সঠিক দিকনির্দেশনায় এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা যায়।
তথ্যসূত্র: ফেমিনা