জানেন কি, মাড়ির এসব সমস্যার কারণে পড়ে যেতে পারে দাঁত

সুস্থ দাঁতের জন্য চাই সুস্থ মাড়ি। সাধারণত মুখের ভেতর জীবাণুর আক্রমণের কারণেই মাড়ির নানা ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। মাড়ির যত্ন নিশ্চিত করতে মুখ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিকল্প নেই।

মাড়িতে ব্যথা হলে দ্রুত দন্তচিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

কেন চাই মাড়ির যত্ন
মাড়ি হলো দাঁতের ভিত্তি। গোড়াতেই যদি হয় গন্ডগোল, তবে কি আর কিছু ঠিকঠাক থাকে? মাড়ির সমস্যা হলে ব্যথা তো হয়ই, ফুলে যেতে পারে মাড়ি, দেখা দিতে পারে লালচে ভাব। সহজে রক্তও পড়তে পারে। মাড়ি নিচের দিকে নেমে আসা কিংবা দাঁত স্বাভাবিকের চাইতে বড় দেখানোর মতো সমস্যাও হতে পারে। মাড়ির সমস্যা জটিল আঁকার ধারণ করলে দাঁত পড়ে যাবার ঝুঁকি পর্যন্ত থাকে। এ ছাড়া বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির ক্ষেত্রে মাড়ির সংক্রমণের কারণ শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।

দাঁত পরিষ্কারের জন্য নরম ব্রিসলের ব্রাশ ব্যবহার করুন
ছবি : প্রথম আলো

করণীয়
• দিনে দুবেলা দাঁতব্রাশ করার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিবার দাঁতব্রাশের জন্য সময় নিন মিনিট দুয়েক।
• নরম ব্রিসলের ব্রাশ ব্যবহার করুন।
• একটি ব্রাশ তিন মাসের বেশি ব্যবহার করবেন না। তার আগেই ব্রিসল ক্ষয় হয়ে গেলে কিংবা ব্রিসল বেরিয়ে এলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্রাশ পরিবর্তন করে ফেলুন।
• রোজই ফ্লস ব্যবহার করুন। দাঁতের ফাঁকে কিছু জমবে, তারপর ফ্লস করবেন—এমন অভ্যাস করা ভুল।
• খাওয়ার পর কুলকুচি করুন। মিষ্টি স্বাদের খাবার খাওয়ার পর অবশ্যই ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। পানি তো বটেই, জীবাণুরোধী মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়াও ভালো অভ্যাস।
• ভিটামিন সি–জাতীয় খাবার খেতে হবে রোজ।

মন খুলে হাসতে শুধু দাঁতেরই নয়, মাড়িরও যত্ন নিন। মডেল: তানহা
ছবি : প্রথম আলো

বর্জনীয়
• কখনো দাঁতে দাঁত ঘষবেন না বা দাঁতে দাঁতে চাপ দেবেন না।
• ধূমপান বর্জন করুন।
• পান, তামাক, সুপারি, জর্দা, গুল প্রভৃতি সেবনের অভ্যাস রাখা যাবে না।

মুখ ও দাঁতের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে পরিচ্ছন্নতা জরুরি
ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্য রাখুন
• বছরে অন্তত একবার দন্তচিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
• দাঁত কিংবা মাড়ির কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসা নিতে দেরি করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা রয়ে গেলে জটিলতার ঝুঁকি বাড়ে।
• দাঁতের গোড়ায় সাদাটে কিছু জমতে দেখা গেলে সেটি পরিষ্কার করিয়ে নেওয়ার জন্যও দন্তচিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
• ডায়াবেটিস কিংবা অন্য কোনো কারণে যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাঁদের ক্ষেত্রে দাঁত ও মাড়ির যত্নে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে। গর্ভবতী ও মেনোপজ–পরবর্তী নারীর জন্যও সচেতনতা আবশ্যক।