কীভাবে বুঝবেন আপনার শিশুর অটিজম বৈশিষ্ট্য আছে কি না
বর্তমান বিশ্বে শিশুদের মধ্যে বেড়ে যাওয়া রোগের মধ্যে অন্যতম অটিজম। তবে এটি আসলে নির্দিষ্ট কোনো রোগ নয়। এ সমস্যার অনেক ধরন ও বিস্তৃতি রয়েছে বলে রোগটিকে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার বলা হয়। এটি মূলত একটি জটিল স্নায়বিক বিকাশজনিত সমস্যা, যা সামাজিক যোগাযোগে অক্ষমতা, ভাব প্রকাশের অক্ষমতা বা পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ দিয়ে শনাক্ত করা হয়।
অটিজম বৈশিষ্ট্যপূর্ণ শিশুর কী ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকে, তা জানা যাক।
সামাজিক যোগাযোগে অসংগতির লক্ষণ
১) চোখে চোখ না রেখে কথা বলা।
২) ৯ মাসের মধ্যে নাম ধরে ডাকলে শিশুর সাড়া না দেওয়া বা হাসি–কান্নার অনুভূতি প্রকাশ না করা।
৩) ১২ মাসে শিশুকে বিদায়ের সময় টাটা দিলে প্রতি–উত্তরে টাটা দিয়ে হাত না নাড়া। সেই সঙ্গে নানা ধরনের খেলায় শিশুর অনাগ্রহ।
৪) ১৫ মাসে কোনো আকর্ষণীয় খেলনা/বস্তুর প্রতি আগ্রহ না দেখালে।
৫) ২৪ মাসে কেউ ব্যথা পেলে বা কাঁদলে কখনোই তা খেয়াল না করলে।
৬) ৩৬ মাসে সবার সঙ্গে খেলায় অংশগ্রহণ না করলে।
৭) পাঁচ বছরে শিশু গান–নাচ বা কোনো কাউকে অনুকরণ না করলে।
পুনরাবৃত্তিমূলক কাজের লক্ষণ
১) খেলনা এক লাইনে সাজানো এবং খেলনা এলোমেলো হলে অস্থির হওয়া বা কেঁদে ফেলা।
২) একই খেলনা দিয়ে বারবার একইভাবে খেলতে থাকা।
৩) এক শব্দ বারবার বলা।
৪) নির্দিষ্ট রুটিনের বাইরে গেলে কান্নাকাটি করা।
৫) একটানা হাতে তালি দেওয়া বা পা নাড়াতে থাকা।
৬) একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর মনোযোগী থাকা, যেমন শিশু এক মনে শুধু ছবি আঁকতে থাকে, চারপাশের আর কিছুই খেয়াল করে না।
এ ছাড়া শিশুর দেরিতে কথা বলা বা হাঁটা, খিঁচুনি বা অন্য কোনো অস্বাভাবিক আচরণ থাকলে তা অটিজমের লক্ষণ হতে পারে। তাই শিশুর বিকাশে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখতে পেলে দ্রুত শিশু ও নিরোলজিস্ট বা শিশুবিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।