পবিত্র হজের সময় ডায়াবেটিক রোগীদের যা মানা জরুরি

ছবি: পেক্সেলস

পবিত্র হজ পালনকালে হাজিদের স্বাস্থ্যগত জটিলতা ও মৃত্যুর অন্যতম কারণ এবং ঝুঁকি ডায়াবেটিস। পরিবর্তিত আবহাওয়া, ভৌগোলিক পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাস ও অতিরিক্ত পরিশ্রম ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য হজের সময় একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া যথাসময় ইনসুলিন নেওয়া ও তা সংরক্ষণের সমস্যাসহ নানা কারণে এ সময় গ্লুকোজের মাত্রা এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। ভাষাগত সমস্যাও জরুরি চিকিৎসা নিতে বিলম্ব তৈরি করে। তবে অনেক ডায়াবেটিক রোগী আছেন, যাঁরা ঝুঁকি ছাড়াই হজের সব কর্ম সম্পাদন করতে সক্ষম হবেন।

যাঁদের ঝুঁকি কম

  • তিন মাসের শর্করার গড় মাত্রা এইচবিএওয়ানসির মাত্রা ৭-এর নিচে।

  • যাঁদের ডায়াবেটিস প্রাথমিক পর্যায়ের ট্যাবলেট খেয়ে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মাঝারি ঝুঁকি

  • যাঁদের এইচবিএওয়ানসি ৭ থেকে ৮ দশমিক ৫।

  • ডায়াবেটিসের যেসব ওষুধ অত্যধিক গরমের সময় পানিশূন্যতা উসকে দেয়।

  • যাঁরা সালফোনিল ইউরিয়া গোত্রের ওষুধ সেবন করছেন বলে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকিতে আছেন।

তীব্র ঝুঁকি

  • অনিয়ন্ত্রিত টাইপ-১ ডায়াবেটিস।

  • টাইপ-২ ডায়াবেটিসে যাঁরা দুই ধরনের ইনসুলিন নিচ্ছেন অথবা পাম্প ব্যবহার করছেন।

  • অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত।

  • রক্তে চিনির মাত্রার নিয়ন্ত্রণহীনতা।

অতি তীব্র ঝুঁকি

  • যাঁরা ঘন ঘন হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় আক্রান্ত হন।

  • হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ সম্পর্কে অনুভূতিহীন।

  • ডায়াবেটিসের সঙ্গে স্টেজ ৩, ৪, ৫ কিডনি ফেইলিউর।

  • ক্ষুদ্র কিংবা বড় রক্তনালির অন্যান্য জটিলতা।

  • অস্থিতিশীল করোনারি ধমনি-সংক্রান্ত হৃদ্‌রোগ।

  • বয়োবৃদ্ধ, যাঁদের অন্যান্য স্বাস্থ্যসমস্যা রয়েছে।

করণীয়

  • হজের সফরে যাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনুন।

  • ডায়াবেটিস-সংক্রান্ত অন্যান্য জটিলতা থাকলে চিকিৎসা নিন। 

  • প্রয়োজনীয় ওষুধ, ইনসুলিন, ইনসুলিন পেন, সিরিঞ্জ অথবা সুই—এগুলো নেওয়ার জন্য ছোট ব্যাগ রাখুন।

  • ইনসুলিন সংরক্ষণে ঠান্ডা প্যাকের ব্যবস্থা করুন।

  • নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সঙ্গে নিন। এগুলো বেশি তাপে নষ্ট হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সিএমএইচ, বরিশাল

আরও পড়ুন