ঈদে জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় এই দুটি নম্বর মনে রাখুন
ঈদে বাসার কেউ হঠাৎ অসুস্থ হতেই পারে। হাত কেটে যাওয়া, পুড়ে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা অথবা ভয়ানক শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, বুকে ব্যথা, জ্বর আসতেই পারে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক সময়ই আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি। এমনও হয়, চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার মতো বাসায় কেউ থাকে না। অথবা বাসার সবাই ঘরের বাইরে, এমন সময়ও ঘটতে পারে কোনো দুর্ঘটনা। এ ধরনের পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে যদি অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন পড়ে আর হাসপাতালের যোগাযোগ নম্বর যদি আপনার জানা না থাকে, তাহলে নিঃসংকোচে ডায়াল করুন ৯৯৯–এ। এই নম্বরে রাত–দিন ২৪ ঘণ্টাই ফোন করা যায়। সরকারি ছুটির দিন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবেও খোলা থাকে এই নম্বর। ফোন করতে আলাদা কোনো বিলও লাগে না। ৯৯৯ থেকে কোন এলাকার কোন হাসপাতালে যেতে চান, তারাই বলে দেবে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির দরকার হলে অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজখবরও তারা দিয়ে থাকে।
আর বাসায় থেকেই চিকিৎসাসেবার প্রয়োজন হলে ফোন করতে পারেন ১৬২৬৩ নম্বরে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই নম্বরে সব সময় চিকিৎসক পাওয়া যাবে। সরকারি স্বাস্থ্যসেবাটির নাম স্বাস্থ্য বাতায়ন। রাত বা দিনের যেকোনো সময় যেকোনো অসুস্থতায় বিনা মূল্যে এখানে পাবেন চিকিৎসাসেবা। চিকিৎসাসংক্রান্ত জরুরি ফোন নম্বর, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাবিষয়ক তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে ২৪ ঘণ্টা সহযোগিতা করে স্বাস্থ্য বাতায়ন।
ঘরে বসে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর ব্যবস্থাও আছে। দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চালু রয়েছে এ–সংক্রান্ত জরুরি সেবা। প্যাথলজি বিভাগ থেকে লোক বাসায় এসে নমুনা নিয়ে যান। যেমন রক্ত, প্রস্রাব, মুখের লালা ইত্যাদি। তবে বড় মেশিন দরকার হয়, এ ধরনের পরীক্ষা বাসায় করানো সম্ভব নয়।
এ ধরনের স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক জরুরি তথ্য খুব সহজেই স্বাস্থ্য বাতায়ন থেকে পেতে পারবেন। আর বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যোগাযোগ করতে চাইলে আপনাকে গুগলের দ্বারস্থ হতে হবে।
অনেক চিকিৎসক টেলিমেডিসিন বা ভিডিও কলের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন। আপনার এলাকার যে চিকিৎসকেরা এ ধরনের সেবা দিয়ে থাকেন, তাঁদের যোগাযোগের ঠিকানা নোট করে রাখবেন।