বয়স্ক ব্যক্তিদের হঠাৎ ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। উন্নত দেশগুলোতে ‘ফল প্রিভেনশন’ বা পড়ে যাওয়া রোধে নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিছু নিয়ম মেনে চললে এবং আগাম কিছু ব্যবস্থা নিলে এটি অনেকটাই রোধ করা সম্ভব।
ঝুঁকি কাদের বেশি
৬০ বছরের বেশি বয়সীদের।
চোখের সমস্যা আছে যাঁদের।
পারকিনসন, ডিমেনশিয়া–জাতীয় রোগ থাকলে।
মানসিক রোগ, দুশ্চিন্তা বা বিষণ্নতা থাকলে।
মেঝে স্যঁাতসেঁতে থাকলে বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাসকারী ব্যক্তিদের।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, যাঁরা হাঁটার জন্য লাঠি, ফ্রেম বা অন্য কোনো কিছু ব্যবহার করেন।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস।
ঝুঁকি কমাতে ভারসাম্য ব্যায়াম
ভারসাম্য ব্যায়ামের মাধ্যমে হঠাৎ পড়ে ঝুঁকি অনেকাংশেই কমিয়ে আনা যায়।
একটি চেয়ারে বসুন। এরপর ঊরুর ওপর হাতের ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ান। পরপর তিনবার এটি করুন। দিনে তিন বেলা এটা চালিয়ে যান।
কোনো কিছু ধরে এক পায়ে ১০ সেকেন্ড দাঁড়ান, এবার অন্য পায়ে ভর দিন। এভাবে পা বদল করে ১০ বার করুন। এরপর কোনো কিছু না ধরে করার চেষ্টা করুন।
মেঝেতে একটি লম্বা রেখা টানুন। এবার পাশাপাশি এক পা করে রেখার ধারে হাঁটার চেষ্টা করুন। এটা হলো সাইড ওয়াকিং। এভাবে পরপর তিনবার করুন।
কিছু সতকর্তামূলক ব্যবস্থা
ঘর বা শৌচাগারের মেঝে যেন ভেজা বা স্যঁাতসেঁতে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
ধারালো আসবাব বা ভঙ্গুর জিনিসপত্র বয়স্কদের কাছ থেকে সরিয়ে রাখুন।
ঘরে হাঁটাচলা করার জায়গা পরিষ্কার রাখুন এবং পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন।
যদি লাঠি বা ফ্রেম ব্যবহার করেন হাঁটার জন্য, তাহলে নিয়মিত তা পরখ করুন। কোনো সমস্যা থাকলে তা মিটিয়ে ফেলুন।
শৌচাগারে পড়ে যাওয়া রোধে রেলিংয়ের ব্যবস্থাও করা যায়।
জুতা বেশ আরামদায়ক ও সঠিক মাপের হতে হবে। জুতারও সোল বেশ ভালো মানের হতে হবে, যাতে পিছলে না যায়।
উম্মে শায়লা, ফিজিওথেরাপি–বিশেষজ্ঞ, পিটিআরসি