কোষ্ঠকাঠিন্য ও কোলন ক্যানসার ঠেকাতে শিম

শিম অতিপরিচিত একটি শীতকালীন সবজি। যদিও আজকাল সারা বছর এটি পাওয়া যায়; তবু শীতে বেশি পাওয়া যায় বলে সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। তাই রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ের জন্য এই সবজি গ্রহণ করা উচিত।

যাঁদের খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন শিম থাকে, রোগবালাই একটু দূরে থাকবে তাঁদের কাছ থেকে। নানা গুণাগুণে ভরা শিম কোষ্ঠকাঠিন্য ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে এবং ওজন কমায়। ভর্তা, ভাজি বা রান্না—যেভাবে পরিবেশন করা হোক, খাবারের পদ হিসেবে শিম অতুলনীয়।

শিমভর্তা অপছন্দ, এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। মৌসুমের শুরুতে বাজারে আসা কচি শিম দিয়ে মাছের ঝোল অতি উপাদেয়। আবার যাঁরা নিরামিষভোজী, শিম তাঁদের খাদ্যতালিকায় রাখতে হয়। কারণ, সুস্বাদু এই সবজি আমিষের বড় উৎস। 

শিমে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আঁশ, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। প্রসূতি নারীদের অনেকে গর্ভকালীন তিন–চার মাস বমিভাবের জন্য মাছ-মাংস খেতে পারেন না। আমিষের চাহিদা মেটাতে তাঁদের খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন শিম রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া বাড়ন্ত শিশু ও প্রবীণ ব্যক্তিদের খাবারে আমিষের চাহিদা মেটাতে নিয়মিত শিম রাখা উচিত।

যেসব রোগে বিশেষ উপকারী

  • পাচক আঁশ বা ডায়েটারি ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত রোগীদের জন্য শিম খুবই উপকারী। শিমের বীজে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি—এ দুটো উপাদান থাকায় হৃদ্‌রোগ নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে শিম কার্যকর।

  • প্রচুর আঁশ থাকায় শিম কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।

  • শিমে পাওয়া যায় ভিটামিন এ; যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে। 

  • শীতে ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক ও প্রাণহীন। নিয়মিত পুষ্টিগুণ বজায় রেখে শিম রান্না করে খেলে ত্বক ভালো থাকবে এবং চুল পড়া কমে যাবে।

তা ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম শিমে আছে ৪৮ কিলোক্যালরি। অন্যদিকে একই ওজনের ডিমে ১৭৩ কিলোক্যালরি ও মুরগির মাংসে রয়েছে ১০৯ কিলোক্যালরি। তাই যাঁরা ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাঁদের জন্য কম ক্যালরির পুষ্টিকর খাবার হিসেবে শিম হতে পারে আদর্শ।

সতর্কতা: যাঁরা কিডনির জটিলতায় আক্রান্ত, তাঁরা চিকিৎসক অথবা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে শিম খাবেন।

আগামীকাল পড়ুন: শিশুর রাতে বিছানায় প্রস্রাব