মাথার পেছন দিকে ব্যথা হলে কী করবেন

মাথার পেছনে যন্ত্রণা হলে কী করবেন?

একবারও মাথাব্যথা হয়নি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। খুব সাধারণ কারণে যেমন মাথাব্যথা হতে পারে, তেমনি এই ব্যথাই হতে পারে মারাত্মক কোনো রোগের লক্ষণ। মাথাব্যথা নানা রকমের হয়। কারও সারা মাথায় ব্যথা, কারও আবার আধকপালি (অর্ধেক)। বিশেষ করে মাথার পেছন দিকে। এই আলোচনা মাথার পেছন দিকের ব্যথা নিয়ে।

মাথার পেছন দিকে ব্যথা হওয়া সাধারণত কিছু শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। কিছু সাধারণ কারণ হলো-

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা স্ট্রেস: একে আমরা টেনশন টাইপ হেডেক বলি। মাথার পেছনে অথবা পুরো মাথায় ব্যান্ডের মতো করে একটা ভোঁতা অনুভূতি হয়। ঘাড়ের পেশিতে টান লাগে, সঙ্গে চোখে ব্যথা থাকতে পারে। অতিরিক্ত কাজের চাপ, মানসিক উদ্বেগ, বেশি দুশ্চিন্তায় এই ব্যথা শুরু হয়। বিশ্রাম নিলে বা ব্যথার ওষুধ খেলে কমে যায়।

মাইগ্রেন: মাইগ্রেনে মাথার একপাশে ব্যথা হলেও পেছন থেকে তীব্র ব্যথা শুরু হতে পারে। ব্যথার সঙ্গে বমি ভাব, আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা ও চোখে ব্যথা থাকে।

ঘাড়ের পেশিতে টান: অনেক সময় অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে অনেকক্ষণ থাকলে বা ঘুমালে ঘাড়ের পেশিতে ও মাথার পেছনে টান লাগে। যার কারণে তীব্র ব্যথা হয়, মাথা ও ঘাড় নাড়াতে কষ্ট হয়।

স্পন্ডিলাইটিস: যাঁরা ডেস্ক জব করেন, যাঁদের অনেকক্ষণ টেবিলে বা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করতে হয়, তাঁদের মেরুদণ্ডে সারভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস নামের অসুখ হয়। এতে মাথার পেছনে ব্যথা হয়।

রক্তচাপের সমস্যা: হঠাৎ রক্তচাপ অনেক বেড়ে গিয়ে বা কমে গিয়ে মাথার পেছনে ব্যথা হতে পারে।

আঘাতজনিত: মাথার পেছনে আঘাত লাগলে বা অস্থিসন্ধিতে কোনো সমস্যা হলে ব্যথা হয়। এ ছাড়া সেলুনে মাথা ম্যাসাজ করালেও পেশিতে আঘাত পেয়ে মাথায় ব্যথা হয়।

সাইনাস সংক্রমণ: ঠান্ডা লেগে সাইনাস সংক্রমিত হলে মাথার পেছনসহ যেকোনো জায়গায় ব্যথা হয়।

করণীয় কী

  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।

  • মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করতে হবে।

  • ঘুমানোর সময় সঠিক ভঙ্গিতে থাকতে হবে।

  • রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

  • ব্যথা হলে প্যারাসিটামল–জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।

  • বেশি ব্যথা হলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।

আরও পড়ুন