‘কষা’ নরম করবেন যেভাবে

কষা হলে সেটা বোঝার কিছু লক্ষণ আছে
ছবি: পেক্সোলস

কোষ্ঠকাঠিন্যকে সোজা কথায় অনেকে কষা বলে থাকেন। এটি এমন একটি সমস্যা, যা সাধারণত অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের ওপর নির্ভরশীল।

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে সেটা বোঝার কিছু লক্ষণ আছে। মল শক্ত ও শুকনা হয়ে যায়। অনেক সময় মল দেখতে ছোট পাথর বা মার্বেলের মতো হয়। মলত্যাগের চাপ এলে ব্যথা ও অস্বস্তি লাগে। এই সমস্যা যাদের আছে, তাদের পেট সামান্য ফোলা আবার অনেক ক্ষেত্রে পেট ভরা বোধ হয়, ফলে খিদে কমে যায়। টয়লেটে বসতেও অসুবিধা হয়। পায়ুপথে জ্বালাপোড়া থেকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে থাকে।

কষা নরম করার উপায়

কিছু নিয়ম কষার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে
ছবি: আনস্প্ল্যাশ

কিছু প্রাকৃতিক উপায় আছে, যেগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য বা কষার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

  • অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শরীর হাইড্রেট না থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে জন্য পর্যাপ্ত পানি পানের পাশাপাশি তরল খাবার, পানিসমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।

  • বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করলে হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকে। আর হজম ঠিক থাকলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।

  • খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত আঁশসমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। এ ধরনের খাবার মল তৈরির প্রক্রিয়াকে সহজ করতে সাহায্য করে। লাল চাল, লাল আটা, ডাল–জাতীয় খাবার, চিয়া সিড, শাকসবজি ও বাদাম এ ধরনের খাবার। এসব খাবার আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে।

  • ইসবগুলের ভুসিও খুব কার্যকর। তবে সেটা খেতে হবে বুঝে–শুনে। অনেকে রাতে ইসবগুলের ভুসি খেয়ে ফেলেন, এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমার পরিবর্তে বেড়ে যায়। এর কারণ ঘুমের মধ্যে পর্যাপ্ত পানি পান করা হয় না। তাই ইসবগুলের ভুসি পেটে গিয়ে খাবার নরম করার সুযোগ পায় না। সে জন্য ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে সকাল বা দুপুরবেলা। এতে অনেকটা সময় জেগে থাকার ফলে পর্যাপ্ত পানি খাওয়া হয় আর কষার সমস্যা কমে যায়।

এসব উপায়ের পাশাপাশি কিছু কাজ বর্জন করাও জরুরি। এই যেমন—

  • অতিরিক্ত চিন্তা করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। সে জন্য নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখতে হবে।

  • অনেকে মলত্যাগের অনুভূতি এলে চেপে রাখেন। এতে এই সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। সে জন্য মলত্যাগের চাপ অনুভূত হলে চেপে না রেখে মলত্যাগ করতে হবে।

লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজী হাসপাতাল, বারিধারা শাখা।