দ্রুতই বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে যা খাবেন
শরীরে বয়সের ছাপ পড়া ঠেকাতে খাদ্যাভ্যাসে মনোযোগী হন। কী খাচ্ছেন, কেন খাচ্ছেন তা জেনে-বুঝে খান। তারুণ্য ধরে রাখা বা দ্রুতই বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে সহায়ক এমন কিছু ফল ও শাক-সবজির গুণাগুণ তুলে ধরা হলো এখানে।
ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা ও শালগম
ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শালগম এবং এজাতীয় সব সবজিই তারুণ্য ধরে রাখতে খুবই উপকারী। এসব সবজির আরেকটি বড় গুণ হলো এরা ক্যানসার প্রতিরোধে শরীরকে প্রস্তুত করে। আর এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি খেয়াল রাখা দরকার তা হলো—ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা ও শালগম এবং এজাতীয় সব সবজি খেতে হবে হালকা সেদ্ধ করে, কাঁচা খেতে পারলে আরও ভালো। অতিরিক্ত সেদ্ধ হয়ে গেলে এগুলোর প্রয়োজনীয় এনজাইম নষ্ট হয়ে যায়।
রসুন ও আদা
রসুন ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দি-জ্বর ঠেকিয়ে দিতে পারে—এটা আমরা অনেকেই জানি। তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ যে কাজ রসুন করে তা হলো—এটা নতুন কোষ সৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাওয়াকে ঠেকিয়ে দিতে পারে এবং রক্ত পাতলা করে। ফলে হূদরোগীদের জন্য রসুন উপকারী। আর আদা পরিপাকের জন্য খুবই উপকারী। আদা টক্সিন মোকাবিলা করে স্বাভাবিক পরিপাক ক্রিয়াকে গতিশীল করে। কোষের ক্ষতি কমিয়ে কোষকে সক্রিয় রাখতে ভূমিকা রাখার মধ্য দিয়েই আদা বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে সহায়ক।
ওমেগা-থ্রি
শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ওমেগা-থ্রি। বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ এই পুষ্টি কাজে লাগানোর প্রথম উপায় হলো ওমেগা-সিক্স আছে এমন খাবার (দুধ ও মাংস-জাতীয়) কমিয়ে দেওয়া। এ অবস্থায় ওমেগা-থ্রিসমৃদ্ধ খাবার যেমন—পালংশাক, ফুলকপি, আখরোট, তিসির তেল, মাছের তেল, ডিম, সয়াবিন, ক্যানোলার তেল, শণের বীজ, শ্যামন-জাতীয় মাছ ইত্যাদি খেতে হবে। ওমেগা-থ্রিসমৃদ্ধ খাবারে হূিপণ্ডের দুর্বলতা, আর্থ্রাইটিসসহ স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
আমলকী
আমলকীকে আমরা ভিটামিন-সির সমৃদ্ধ উত্স হিসেবেই মনে রাখি। এই ভিটামিন সি তারুণ্য ধরে রাখতে খুবই জরুরি। পাশাপাশি ত্বক সজীব ও উজ্জ্বল রাখতেও দারুণ উপকারী আমলকী। ত্বক পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি আমলকী আরও জরুরি যেসব কাজে সহায়তা করে তা হলো—যকৃেক টক্সিনমুক্ত করা।
টমেটো
টমেটো যে কতভাবে খাওয়া যায়। লাল রসাল টমেটো কাঁচা কামড়ে খান, সালাদে খান, হালকা সেদ্ধ করে রান্নায় খান...। সূর্যালোকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে এবং ত্বকের বলিরেখা ঠেকাতে উপকারী টমেটো। টমেটো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান লাইসোপিনসমৃদ্ধ। টমেটো খাওয়া নিয়ে ক্লান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। বেশি বেশি টমেটো খান, তারুণ্য ধরে রাখুন।