গ্লুটেন যাঁদের সয় না, তাঁদের যেসব খাওয়া মানা
গ্লুটেন হলো একধরনের প্রোটিন, যা কেবল নির্দিষ্ট কিছু খাবারেই বিদ্যমান। সাধারণত বিভিন্ন শস্যদানায় পাওয়া যায় গ্লুটেন। অধিকাংশ মানুষেরই গ্লুটেন সয়ে যায়। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে ঘটে ব্যতিক্রম। গ্লুটেনের প্রতি সংবেদনশীলতা থাকলে কিংবা নির্দিষ্ট কোনো রোগে আক্রান্ত হলে গ্লুটেন এড়িয়ে চলার উপদেশ দেন চিকিৎসকেরা।
যা খাওয়া যাবে না
ঢাকার গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লায়েড হিউম্যান সায়েন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শম্পা শারমিন খান জানালেন, মূলত গম এবং গম থেকে উৎপন্ন খাবারে উচ্চমাত্রায় গ্লুটেন থাকে। এ ছাড়া যব ও সুজি দিয়ে তৈরি খাবারেও গ্লুটেন পাওয়া যায়। এসব উপকরণ দিয়ে তৈরি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। গমের আটার রুটি, পরোটা, পাউরুটি, বনরুটি, নুডলস ও বিস্কুট গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
খেতে পারেন অনেক কিছুই
নিষেধাজ্ঞার তালিকা দেখে আশাহত হওয়ার কিছু নেই। প্রচলিত অনেক খাবার নিষেধ করা হলেও খেতে পারবেন অনেক অনেক মজাদার খাবার। রসনাবিলাসেও পাবেন পরিতৃপ্তি। শম্পা শারমিন খানের কাছেই জেনে নেওয়া যাক।
মাছ-মাংস খেতে পারেন। তবে যে প্রক্রিয়ায় এগুলোতে গ্লুটেনসমৃদ্ধ কিছু যোগ করা হয়, (যেমন টোস্ট বিস্কুটের গুঁড়া, ময়দা প্রভৃতি উপকরণ দিয়ে তৈরি চিকেন ফ্রাই, মিট বল, ফিশ বল) সেভাবে রান্না করা হলে নয়।
ডিম, দুধ, দই, টক দই, পনির খেতে পারেন। রান্নায় এসব উপকরণ ব্যবহার করলে ক্ষতি নেই।
সয়াবড়ি বা টোফু খেতে পারেন (যদি তাতে বাড়তি কিছু দেওয়া না থাকে)।
ডাল, নানা ধরনের বাদাম, মটরদানা, শিমের বীজ, চিয়া বীজ, তিসি বীজ খেতে পারেন।ভাত খেতে মানা নেই (তবে অবশ্যই ক্যালরির দিকে খেয়াল রেখে, অর্থাৎ অতিরিক্ত পরিমাণে নয়)। চালে গ্লুটেন নেই। মুড়ি, চালের আটার রুটি ও চালের আটার তৈরি পিঠা খাওয়া যাবে।
বাজরা, ছোলার ডালের বেসন, সয়া দিয়ে তৈরি ময়দার খাবার খাওয়া যাবে। রান্নায় কর্নস্টার্চ, কর্নফ্লাওয়ার ও অ্যারারুট ব্যবহার করা যেতে পারে (যদি তা গ্লুটেনবিহীন হয়)।
ফলমূল, শাকসবজি খেতে বাধা নেই।
এ ছাড়া গ্লুটেনসমৃদ্ধ খাবার যদি বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়, অর্থাৎ মোড়কে উল্লেখ থাকে ‘গ্লুটেনবিহীন’, সেটিও খেতে পারবেন (যেমন গ্লুটেনবিহীন ওটস কিংবা বিস্কুট)।