দামে কম মানে ভালো তিসির বীজের এত উপকার জানলে চমকে যাবেন

‘দামে কম, মানে ভালো’—ভাইরাল বিজ্ঞাপনটির বহুল চর্চিত এই সংলাপ ভালোভাবেই খাটে তিসি বীজের ক্ষেত্রে। সহজলভ্য, সস্তা এই বীজের এত উপকার জানলে চমকে যাবেন।

সহজলভ্য, সস্তা তিসির বীজের অনেক গুণছবি: পেক্সেলস

১. তারুণ্য ধরে রাখে

তিসির অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যাল দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকায়। ফলে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয় না এবং ত্বক থাকে টান টান। ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে তিসি। এ ছাড়া তিসির তেল মালিশ করলে শরীর থাকে সতেজ। এই তেল মুখে মাখলেও ত্বক উজ্জ্বল হয়।

২. ক্যানসার প্রতিরোধ করে

তিসির বীজে মেলে আলফা লাইনোইক অ্যাসিড, যা আর্থ্রাইটিস, হাঁপানি, ডায়াবেটিস ও ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষত কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে তিসির বীজ রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

৩. শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে

নিয়মিত তিসি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ অংশ সুস্থ ও কার্যকর থাকে।

৪. হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে

তিসি বীজের লাইগন উপাদানটপি অন্ত্রে সক্রিয় থেকে এমন এক উপাদান তৈরি করে, যা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৫. ওমেগা–৩–এর ভালো উৎস

ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস তিসির বীজ। ফলে যাঁরা নিরামিষভোজী, তাঁরা নিয়মিত তিসির বীজ খেতে পারেন।

হজমশক্তি বাড়ানো ও পেটে জমে থাকা মেদ কমানোর জন্য তিসি খেতে পারেন
ছবি: পেক্সেলস

৬. হৃদ্‌যন্ত্রের বন্ধু

তিসির ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তপ্রবাহ উন্নত করে। রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। রক্তে উপস্থিত কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে তিসির বীজ।

৭. ফাইবার বা আঁশের উৎস

আরও পড়ুন

তিসির বীজ দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার আঁশে ভরপুর। এটি হজমশক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

৮. অ্যালার্জি কমায়

তিসির বীজে ফাইটোয়েস্ট্রোজেন যৌগগুলোর পাশাপাশি ওমেগা-৩ থাকে বেশি মাত্রায়। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা দেছে, এই দুই যৌগ হাঁপানি রোগীদের অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে।

৯. ওজন কমায়

সামান্য ওজন বাড়লেই অনেকের কপালে পড়ে চিন্তার ভাঁজ। এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে তিসির বীজ। হজমশক্তি বাড়ানো ও পেটে জমে থাকা মেদ কমানোর জন্য তিসি খেতে পারেন।

কীভাবে খাবেন

তিসির বীজ শুকনা খোলায় ভেজে নিন। অনেকে আবার ভাজার পর পাটা বা হামানদিস্তায় গুঁড়া করে নেন। তিসির বীজ সরাসরি খেলে হজম হতে সময় নেয়, তাই গুঁড়া করে খাওয়াই ভালো। আটা-ময়দা মাখার সময় অল্প করে তিসির গুঁড়া মিশিয়ে রুটি বানাতে পারেন। আবার সকালে খালি পেটে এক চা–চামচ তিসির গুঁড়া গরম পানিতে মিশিয়েও খাওয়া চলে।

মনে রাখা ভালো

তিসির বীজ খেলে কারও কারও গ্যাসের সমস্যা, পেটব্যথা ও বমি বমি ভাবের মতো সমস্যা হতে পারে।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

আরও পড়ুন