রোজা রেখেও যেভাবে পানিশূন্যতা এড়াবেন
বসন্তের মাঝামাঝি শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। দিনের তাপমাত্রা এখন অনেকটাই বেশি। রোজাদারদেরও ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা খাবার ও পানি না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। দিনের বেলা দীর্ঘ সময় পানি না খেয়ে থাকার কারণে খুব সহজেই পানিশূন্যতা হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকছে। যদি কেউ অত্যধিক গরমের মধ্যে কাজ করেন বা অনেক ঘাম হয় বা অনেক শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কাজ করেন, তাহলে লবণ ও পানি দুটোরই স্বল্পতা হতে পারে। লবণ ও পানির স্বল্পতার জন্য বিভিন্ন উপসর্গ হতে পারে, যেমন মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম, গায়ে ব্যথা। মাথা ঘুরে অনেকে অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন। রমজানের সময় পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু সতর্কতা মেনে চলুন।
১. ইফতার থেকে সাহ্রি পর্যন্ত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করুন।
২. ঘাম বেশি হলে বা দীর্ঘ সময় গরমে কাজ করলে রাতে পানির বদলে ওরস্যালাইন খাওয়া যেতে পারে।
৩. সাহ্রি ও ইফতারের ভাজাপোড়াকিংবা ভারী খাবার না খাওয়া।
৪. অত্যধিক গরমে যেমন রান্নাঘরে কিংবা শারীরিক পরিশ্রমের জায়গায় কাজ করলে ১ থেকে ২ ঘণ্টা পরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট ছায়ায় বিশ্রাম নেওয়া ভালো।
৫. অনেকে সাহ্রি সময় কিছু খান না। সাহ্রির সময় কোনো শক্ত খাবার না খেলেও পানি বা তরল খাওয়া খুব প্রয়োজন। না হলে পানিশূন্যতা হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
৬. রোজা থাকা অবস্থায় পাতলা পায়খানা বা বমি হলে রোজা ভেঙে খাবার স্যালাইন খেয়ে ফেলাই ভালো।
৭. যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খান, তাঁরা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধের ডোজ এবং খাওয়ার সময় ঠিক করে নিতে পারেন।
ডা. তাসনোভা মাহিন: সহযোগী কনসালট্যান্ট, মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা