কাজের প্রয়োজনে রাত জাগতে হলে যা করবেন যা করবেন না
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা। সূর্যের আলো নিভতেই কাজ গুটিয়ে ফেলার দিন আর নেই। কাজের প্রয়োজনে রাত জাগতে হয় অনেককেই। অনেক অফিসে ভাগ করে দেওয়া হয় শিফট বা পালা। রাতের পালায় টানা কাজ করতে হয় অনেককে। কিন্তু এই রাতজাগা প্রভাব ফেলে দেহঘড়িতে। হরমোনের ভারসাম্য যেমন নষ্ট হয়, তেমনই বাড়তে পারে ওজন। কিন্তু কাজের প্রয়োজনে তো রাত জাগতেই হয়। সেই রাতজাগা যাতে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে না পারে, সে জন্য প্রয়োজন সচেতনতা, সঙ্গে নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন। নিয়মের মধ্যে থেকে জীবন যাপন করলে রাতজাগার নেতিবাচক প্রভাব কমানো সম্ভব।
পর্যাপ্ত ঘুম
সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম শরীর চাইলে দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। রাতের পালায় কাজ করলেও এই নিয়মের যাতে কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। রাতের পালা শেষে ঘরে ফিরে পর্যাপ্ত সময়ের ঘুম নিশ্চিত করুন।
পর্যাপ্ত খাওয়াদাওয়া
রাতের পালায় কাজ করার সময় অনেকেই খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম করেন। খেয়াল রাখুন, এমন যাতে কখনো না হয়। রাত জেগে কাজ করলে মস্তিষ্ক দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় যদি প্রতিদিনের ক্যালরির মাত্রা ঠিক করে নেওয়া যায়। প্রতিদিনের ক্যালরির পরিমাণ ঠিক করে নিয়ে সে অনুযায়ী খাবারকে পাঁচ থেকে ছয় ভাগ করে নিলে ক্যালরি ইনটেক ঠিক থাকবে।
নিয়মিত পানি
রাতে ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত চা-কফি খেয়ে ফেলেন। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরের ক্ষতি করে। শরীরকে আর্দ্র রাখতে তাই নিয়মিত বিরতিতে পানি খান। এতে শরীর সহজে ক্লান্ত হবে না।
ব্যায়াম
টানা নিয়মিত রাতে কাজ করলে মস্তিষ্কে যেমন ক্লান্তি ভর করে, তেমনই ক্লান্তি ভর করে শরীরে। ক্লান্তি যাতে শরীরে বাসা বাধতে না পরে, সে জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা জরুরি। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর যেমন ফিট থাকবে, তেমনই রাতের কাজ করতে করতে দ্রুত ক্লান্তও হবেন না।
সূর্যের আলো
অনেকেই রাতের পালায় কাজ করতে করতে সূর্যের দেখা পান না। দিনের বেশির ভাগ সময়ই তাঁরা কাটান ঘরে। এতে শরীর আরও বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে ভিটামিন ‘ডি’র জুড়ি মেলা ভার। চেষ্টা করবেন দিনে অন্তত এক ঘণ্টা হলেও সূর্যের আলোতে হাঁটাহাঁটি করার।
সূত্র: নিউজ ১৮