শিশুর খাবারে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান বাদ পড়ছে কি

রোজকার খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনযুক্ত পুষ্টিকর খাবার

শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি, বিভিন্ন কোষ ও টিস্যু পুনর্নির্মাণ, দেহে অম্লতা ও ক্ষারতার ভারসাম্য অক্ষুণ্ন রাখতে আমিষ বা প্রোটিন প্রয়োজন। প্রোটিন রক্তের হিমোগ্লোবিন, হরমোন, বিভিন্ন এনজাইম, রোগপ্রতিরোধক অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করে। মায়ের দুধে যে প্রোটিন থাকে, তা শিশুর জন্য সর্বোত্তম। মাংসজাতীয় খাবারে ২০ শতাংশ, খাদ্যশস্য যেমন চাল, আটা ইত্যাদিতে ১০ শতাংশ, ডাল, মটরে ২০ শতাংশ প্রোটিন থাকে। আর সয়াবিনে থাকে প্রায় ৪০ শতাংশ।

শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি, বিভিন্ন কোষ ও টিস্যু পুনর্নির্মাণ, দেহে অম্লতা ও ক্ষারতার ভারসাম্য অক্ষুণ্ন রাখতে আমিষ বা প্রোটিন প্রয়োজন। প্রোটিন রক্তের হিমোগ্লোবিন, হরমোন, বিভিন্ন এনজাইম, রোগপ্রতিরোধক অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করে। মায়ের দুধে যে প্রোটিন থাকে, তা শিশুর জন্য সর্বোত্তম। মাংসজাতীয় খাবারে ২০ শতাংশ, খাদ্যশস্য যেমন চাল, আটা ইত্যাদিতে ১০ শতাংশ, ডাল, মটরে ২০ শতাংশ প্রোটিন থাকে। আর সয়াবিনে থাকে প্রায় ৪০ শতাংশ।

শর্করা কীভাবে পাবে

  • ক্যালরির অধিকাংশ আসে শর্করা থেকে। খাদ্যের এ উপাদান দ্রুত ক্যালরি জোগায়, শক্তি সঞ্চয়ের আধার গড়ে তোলে, প্রয়োজনে চর্বি বা অ্যামিনো অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়, তৈরি করে অ্যান্টিবডি।

  • আলু, গম, চাল, দুধ, ফলমূল, শাকসবজি হচ্ছে শর্করা খাবারের প্রধান উৎস। শিশুরা মিষ্টি পছন্দ করে বেশি। তবে অতিরিক্ত মিষ্টি না খাওয়ানো শ্রেয়।

ফ্যাট বা চর্বিও দরকার

  • চর্বি দেহের তাপমাত্রা সুরক্ষা, শরীরে ভিটামিন এ, ডি, ই-এর শোষণপ্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। কোষপ্রাচীর, স্নায়ুতন্ত্র, দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বহিরাবরণ তৈরিতে চর্বি প্রয়োজন। দৈহিক বৃদ্ধি ও ত্বক সুস্থ রাখতেও চর্বিজাতীয় খাবার দরকার।

  • শিশুর খাদ্যতালিকায় মাখন, ঘি, তেল যোগ করলে ক্যালরির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তবে জৈব চর্বি, যেমন মাখন ও ঘি সম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত বলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। উদ্ভিজ্জ চর্বিতে থাকে অসম্পৃক্ত চর্বিজাতীয় অ্যাসিড, যেমন বাদাম, শর্ষে ও সূর্যমুখী তেল; যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি বাড়ায় না।

ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ

ভিটামিন আবশ্যক উপাদান, যা খাবারের মাধ্যমে জোগান দিতে হয়। তবে তা পরিমাণে স্বল্প ও সুনির্দিষ্ট। কিছু ভিটামিন অতিরিক্ত হলে দেহে বিষক্রিয়া ঘটায়।

আয়রন বা লৌহ

  • শরীরে লৌহ বা আয়রন উপাদানের অভাবে রক্তাল্পতা দেখা দেয়। এ খনিজ পদার্থের ঘাটতিতে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি যথাযথ হয় না।

  • গরুর দুধে আয়রন খুব কম থাকে, কিন্তু মাতৃদুগ্ধে থাকে প্রচুর। যেসব শিশু গরুর দুধ পানে অভ্যস্ত, তাদের আয়রন ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতার শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই এসব শিশুকে লৌহসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো উচিত।

ক্যালসিয়াম

  • হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত রাখতে ও মাংসপেশি চালনা, স্নায়ুতন্ত্রের সংকেত পরিবহন, রক্তপাত রোধে, রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া, হৃদ্‌যন্ত্রের কর্মকাণ্ডে ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।

  • ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড়গোড় শক্ত হয় না, দাঁত মজবুত হয় না।

  • দেহে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম ধরে রাখার জন্য ভিটামিন ডির মুখ্য ভূমিকা আছে। শিশুকে সপ্তাহে দু-তিন দিন ২০-৩০ মিনিটের জন্য ভিটামিন ডির সহজ উৎস রোদ লাগাতে হবে।

  • শিশু দুধ, পনির, সবুজ শাকসবজি গ্রহণের মাধ্যমেও প্রয়োজনীয় পরিমাণ ক্যালসিয়াম পেতে পারে।