এই পাঁচ ‘শত্রু’কে চিনে নিন, বিদায় করুন

বিশ্বে যত বিলিয়নিয়ার আছেন, তাঁদের মাত্র ১৫ ভাগ উত্তরাধিকার সূত্রে আর ৮৫ ভাগই প্রথম প্রজন্মের বিলিয়নিয়ার। তাই আপনি যদি ধনীর দুলাল না হন বা কোটি টাকার লটারি না জেতেন, তাহলে আফসোস করার কিছুই নেই। আপনি নিজেই নিজের ভাগ্য গড়ার জন্য যথেষ্ট। কেননা, নিজের প্রতিভাকে বিকশিত করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দরজা এখন অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি খোলা। তবে নিজের সেরাটা বের করে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ‘শত্রু’রও অভাব নেই। আর সেই শত্রু কিন্তু সব সময় বাহ্যিক নয় বরং বেশির ভাগ সময়েই অভ্যন্তরীণ। বিজনেস গ্রোথ মাইন্ডসেট অনুসারে চিনে নিন আপনার পাঁচ শত্রু।

ইগো আপনার ভেতরের সব প্রতিভা, ভালো গুণ, কাজ করার মনোভাব নষ্ট করে দেওয়ার জন্য যথেষ্টছবি: প্রথম আলো

১. আপনার ইগো
অহংকার, আত্মকেন্দ্রিকতা, স্বার্থপরতা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা—এই চার মিলে ইগোর সৃষ্টি। বলা হয়, ইগো হলো আগুনের মতো। ইগো আপনার ভেতরের সব প্রতিভা, ভালো গুণ, কাজ করার মনোভাব নষ্ট করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। বরং বিনয়ী হোন। একটা কথা যত উপায়ে বলা সম্ভব, এর ভেতর সবচেয়ে উত্তম উপায়টি বেছে নিন।


২. সঙ্গদোষ
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ‘সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ’। বলা হয়, আপনি আপনার আশপাশের পাঁচজন মানুষের গড়। অর্থাৎ আপনার আশপাশের মানুষের দোষ, গুণ, স্বভাব ও অভ্যাস আপনাকে প্রভাবিত করে। তাই কাদের সঙ্গে মেশেন, সেটা নির্বাচন করা খুবই জরুরি। খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করুন এখনই!

৩. নেতিবাচকতা
আপনার ‘এনার্জি’ নেতিবাচকতার চর্চা বা দুশ্চিন্তায় ব্যয় না করে বরং বিশ্বাস করুন, সৃষ্টিশীল কাজে নিজেকে নিয়োজিত করুন, ভালোবাসুন, নিজেকে প্রতিনিয়ত এগিয়ে নিয়ে যান, সেরে উঠুন আর নেতিবাচকতাকে হটিয়ে সার্বিকভাবে ইতিবাচক হয়ে উঠুন। দেখবেন, আপনার আশপাশে ইতিবাচক বিষয়গুলোই ঘটছে। আপনি যেটাকে গুরুত্ব দেবেন, সেটাই হবে। যেটা ঘটেনি বা ঘটবে না, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করে কী লাভ! আর যেটা ঘটবেই, সেটা আপনার দুশ্চিন্তা আটকাতে পারবে না। তাহলে তো দুশ্চিন্তাটা বৃথাই গেল।

৪. ভিড়ের অনুসারী হওয়া
‘ডু নট ফলো দ্য ক্রাউড’। সবাই যেটা নিয়ে মাতামাতি করছে, সেটার পেছনে না ছুটতে বলা হয়েছে। আপনি বরং নতুন কিছু করুন, পথ তৈরি করুন। নিজের ভেতরের সত্যিকারের সত্তাকে বের করে আনুন। মনে রাখবেন, প্রতিটা মানুষ আলাদা। তাই সবাই একই জাতীয় কোনো কিছুর পেছনে ছোটার মানে হয় না।


৫. ভোগবাদী হওয়া
পৃথিবীতে যা কিছু খারাপ রয়েছে, এর ভেতর অন্যতম হলো ‘ভোগবাদ’। এখান থেকেই অনেক লোভ আর অন্যায়ের শুরু। মানুষের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য খুব বেশি কিছুর দরকার নেই। আপনার একটা লাক্সারি কার থাকার চেয়ে রাতে আরাম করে শান্তিতে ঘুমাতে পারা বেশি জরুরি। দুবাইয়ের একটা বিলাসবহুল রিসোর্টের চেয়ে পুকুরপাড়ের বিকেলটাই হতে পারে অধিক চমকপ্রদ।


৬. বাজে আসক্তি
নিকোটিন, স্ক্রলিং থেকে শুরু করে চিনিও হতে পারে একটা বাজে আসক্তি। বিশ্বাস করুন, আপনার সদিচ্ছাই আপনাকে বাজে আসক্তি থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য যথেষ্ট!

আরও পড়ুন