জন্মদাগ থেকে কি ক্যানসার হতে পারে
অনেকেরই শরীরের বিভিন্ন স্থানে জন্মদাগ রয়েছে। এই দাগগুলো হতে পারে বাদামি, তামাটে, কালো, নীলচে, নীলচে ধূসর, গোলাপি, সাদা বা লালচে রঙের। হতে পারে এটি ত্বকের সাধারণ কোনো ‘দাগ’ কিংবা তিলের মতো একটু উঁচু কিছুও। কোনোটির বিস্তার হয় ত্বকের ভেতর পর্যন্তও। তিল হতে পারে একাধিক, বেশ কতগুলো তিল কাছাকাছি জায়গায়ও থাকতে পারে। কোনো জন্মদাগ মসৃণ, কোনোটা কোঁচকানো। সাধারণত জন্মদাগের কারণে জীবনধারায় ব্যাঘাত ঘটে না। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের ‘দাগ’ হালকাও হয়ে আসে।
জন্মদাগের রং কি বদলায়
সাধারণভাবে যেগুলো কেবল ‘দাগ’, সেগুলোর রং বদলায় না। তবে তিলের রং বদলায় নির্দিষ্ট কিছু সময়ে। শিশু যখন ঘরের বাইরে বেশি যায়, তখন রোদের সংস্পর্শে অধিক সময় থাকার কারণে তিলের রং বদলায়। কৈশোরেও তিলের রং বদলাতে পারে। মেয়েরা বড় হওয়ার পর যখন গর্ভধারণ করে, তখন তিলের রং বদলাতে পারে। জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেলেও তিলের রং বদলায়।
জন্মের পরেও কি জন্মদাগ হতে পারে
কিছু জন্মদাগ দেখা দিতে পারে জন্মের কয়েক বছরের মধ্যে। ডিম্বাকৃতির এই দাগগুলো তামাটে বা হালকা বাদামি হয়। এমন দাগ অবশ্য জন্মের সময়ও থাকতে পারে।
জন্মদাগ থেকে ক্যানসার
ত্বকের ‘দাগ’ থেকে খারাপ কিছু হওয়ার ঝুঁকি নেই। তবে জন্ম থেকে যেসব তিল শরীরে থাকে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেগুলো থেকে পরবর্তী সময়ে ত্বকের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ভয় পাবেন না, জন্মগত তিল অনেকেরই থাকে। সবারই কিন্তু ক্যানসার হয় না। তিলটি যদি আকারে বড় হয়, কেবল তাহলেই থাকে ক্যানসারের ঝুঁকি। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, জন্মগত দাগ যে শুধু বিন্দুর মতো তিলেই সীমাবদ্ধ থাকবে, এমন কিন্তু নয়। ত্বকের থেকে একটু উঁচু হয়ে থাকে, এমন যেকোনো দাগকেই রাখতে হবে জন্মদাগের তালিকায়। এই বড়সড় জন্মদাগ বা বড়সড় তিল, অর্থাৎ যা আপনি স্পর্শ করলেই ত্বকের থেকে সামান্য একটু উঁচু বলে অনুভব করতে পারেন, এগুলোর দিকে একটু খেয়াল রাখতে হবে।
যা করবেন
এ রকম জন্মদাগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আসলে যেকোনো জন্মগত তিল থাকলেই একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখা নিরাপদ।
আর যেকোনো জন্মদাগই আপনার থাকুক না কেন, অর্থাৎ সেটি ‘দাগ’ বা তিল যা-ই হোক না কেন, খেয়াল রাখুন, সেটির আকার, রং বা গড়নে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কি না কিংবা সেখানে ব্যথা, চুলকানি, রক্তপাত বা ক্ষত সৃষ্টি হচ্ছে কি না। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: ওয়েবএমডি