ঘামাচি বা হিট র‍্যাশের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন

ঘামাচি বা র‍্যাশ হলে ঢিলেঢালা পোশাক পরুনছবি: সংগৃহীত

গরমে অনেকের প্রচুর ঘাম হয়। সঙ্গে ত্বকে ফুসকুড়ি, ঘামাচি বা র‍্যাশ হওয়া সাধারণ ব্যাপার। অনেক সময় এটি অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। অনুভূত হয় সব সময় গরম ও শরীরে চুলকানি। এ কারণে ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। কিছু টিপস মেনে চললে ঘামাচি বা র‍্যাশ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

 

যা করতে হবে

  • শরীর ঠান্ডা রাখুন। শরীরের তাপের কারণে ঘাম হয়। এ কারণে শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করতে হবে। এ জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করুন, হাইড্রেটেড ফল ও শাকসবজি খান।

  • ঘামাচি বা র‍্যাশ সাধারণত হাত বা গলায় বেশি হয়। তাই ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। আঁটসাঁট পোশাক এড়িয়ে চলুন। গরমে সুতির কাপড় পরুন। কারণ, এ কাপড়ের মধ্য দিয়ে শরীরের তাপ নির্গত হতে পারে। ঘাম দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং শরীরও শীতল হয়। কৃত্রিম কাপড়ের জামাকাপড়ে ঘাম শুকায় না এবং দীর্ঘ সময় তা শরীরে লেগে থাকলে ঘামাচি বা র‍্যাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

  • নিয়মিত গোসল করবেন, কিন্তু শরীর ভেজা রাখবেন না। ভালো করে গা-হাত-পা মুছবেন। শরীর ভেজা থাকলে ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। ফলে ঘামাচি বা র‍্যাশের আশঙ্কা থাকে।

  • স্বাভাবিক তাপমাত্রার বা ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন। ব্যায়াম বা হাঁটার পর দিনে দুবার গোসল করতে ভুলবেন না। নিয়মিত গোসলে শরীরে জমে থাকা ঘাম দূর হবে এবং হিট র‍্যাশের ঝুঁকিও কমবে।

  • গরমে প্রায়ই কপালে ঘামাচি বা র‍্যাশ হতে পারে। ঘামলে ধুলা ও ময়লা ত্বকে লেগে থাকে এবং ত্বকের ছিদ্রগুলো আটকে যায়। এ অবস্থায় গোসলের সময় হাত দিয়ে ত্বক ঘষে নিন। চাইলে ওটস বা বেসনের মতো কিছু ঘরোয়া জিনিস দিয়েও এটি করতে পারেন। এতে ত্বকে জমে থাকা ময়লা বেরিয়ে আসবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে।

এরপরও বেশি ঘামাচির সমস্যা হলে প্রয়োজনে একজন চর্মরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

ডা. লুবনা খন্দকার: ত্বক ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথ কেয়ার লি., মিরপুর ৬, ঢাকা