চা থেকে চিনি বাদ দেবেন কীভাবে
বাড়তি চিনির স্বাস্থ্যঝুঁকির শেষ নেই। বিশেষ করে পরিশোধিত সাদা চিনি মারাত্মক ক্ষতিকর। আমরা চা ছাড়াও কফি, পায়েস, জুস, কোল্ড ড্রিংস, মিষ্টি, পুডিংসহ নানা খাবারে বাড়তি চিনি খাই। চা ছাড়া বাকি খাবারগুলো হয়তো মাঝেমধ্যে খাই। কিন্তু চা ছাড়া আমাদের যেন চলেই না। সেই চায়ের ভেতর দিয়েই আমরা অনেকটা বাড়তি চিনি খেয়ে ফেলি, যা একসময় স্থূলতা, ডায়াবেটিস, কয়েক ধরনের ক্যানসার, হৃদ্রোগ বা স্ট্রোকের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। তাই আমরা অনেকেই ছাড়তে চাই চায়ের বাড়তি চিনি। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠে না। এনএইচএস ও হেলথ ডটকম অনুসারে জেনে নেওয়া যাক কিছু সহজ পরিচিত টিপস।
১. প্রথমত, মন স্থির করুন যে চায়ে বাড়তি চিনি খাবেন না। হঠাৎ করে পারবেন না। এটা আপনাকে করতে হবে ধীরে ধীরে, ধাপে ধাপে।
২. আপনি যদি চায়ে চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনতে চান, তাহলে আগে চা খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন। আপনি কি দিনে দুই কাপের বেশি চা খান? খাবেন না। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। সে যত ভালো কিছুই হোক না কেন। আগে দিনে দুই কাপ চা খাওয়া আয়ত্তে আনুন। সেটা হতে পারে সকালের নাশতার পর আর বিকেলের নাশতায়।
৩. এখন আপনি এই দুই কাপ চায়ের চিনি নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হোন। আগে হয়তো এক কাপ চায়ে ২ চামচ চিনি খেতেন, এখন থেকে এক চামচ চিনি খান। একবার এক চামচ চায়ে অভ্যস্ত হয়ে গেলে দেখবেন, বেশি চিনি দিলে আর সেই চা খেতে পারছেন না।
৪. এবার চিনির বদলে সামান্য গুড় বা মধু দিয়ে চা খান। গুড় বা মধু তুলনামূলকভাবে প্রাকৃতিক, সাদা চিনির মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।
৫. চায়ে লেবু, মাল্টা, আদা, কালো গোলমরিচ বা লবঙ্গ ব্যবহার করুন। একাধিক উপাদানও ব্যবহার করতে পারেন। এসবের ঘ্রাণ আর স্বাদের জন্য চিনি ছাড়া চা খেতে আপনার সুবিধা হবে।
৬. তুলসী চা, পুদিনা চা, বিভিন্ন হারবাল চা, গ্রিন টি এগুলোও খেতে পারেন মাঝেমধ্যে।
৭. দুধ চায়ে চিনি ছাড়া তুলনামূলকভাবে সহজ। কেননা, দুধে প্রাকৃতিকভাবেই চিনি থাকে। এক কাপ দুধে ১২ গ্রাম চিনি থাকে। ফলে চায়ের তেতো ভাবটা তেমন একটা থাকে না।
সূত্র: এনএইচএস ও হেলথ ডটকম