রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর আর ঘুম না এলে
রাতের ঘুম সবচেয়ে দরকারি। সুস্থ থাকতে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের সাত ঘণ্টা ঘুম দরকার। ঘুমের থাকে একাধিক ধাপ। একটানা ঘুমালে প্রতি ধাপই সম্পন্ন হয় সঠিকভাবে। তবে এক ঘুমেই যে রাত কাবার হবে, এমনটা সব সময় না-ও হতে পারে। হঠাৎ কোনো আওয়াজে ঘুম ভেঙে যেতে পারে, দুঃস্বপ্ন দেখেও জেগে উঠতে পারেন আপনি। কখনো আবার কোনো কারণ ছাড়াই ঘুম ভেঙে যায়। যে কারণেই ঘুম ভাঙুক না কেন, নতুন করে আবার ঘুমাতে মুশকিলে পড়েন অনেকেই। এমন অবস্থায় কী করবেন, আর কী করবেন না—সেটাই জেনে নেওয়া যাক আজ।
ঘড়ি দেখা যাবে না
কয়টায় ঘুম ভাঙল, কয়টা অবধি ঘুমাতে চেষ্টা করছেন, এসব হিসাব-নিকাশ চলতে থাকবে আপনার মনের অবচেতনে। তাতে মানসিক চাপ বাড়বে। এত ভাববেন না। প্রয়োজনে ওয়াশরুমে যান।
আলোর সঙ্গে আড়ি
জানালা দিয়ে আসা আলোর জন্য ঘুমের সমস্যা হতেই পারে। এমন হলে পর্দা টেনে দিন। ঘরে উজ্জ্বল আলো থাকলে নিভিয়ে দিন। মুঠোফোন বা কোনো ডিজিটাল পর্দায় চোখ রাখবেন না। ডিজিটাল স্ক্রিনের আলোয় আপনার ঘুম আসতে সময় বেশি লাগবে। ঘুম ভেঙে গেলেই মাথার কাছে রাখা মুঠোফোনটা হাতে নিয়ে এটা-ওটা দেখার অভ্যাস থাকলে বর্জন করুন। ঘুমের সময় মুঠোফোন ধারেকাছে রাখাই উচিত নয়।
শব্দে ব্যাঘাত
বাইরে থেকে আসা কোনো শব্দের জন্যও ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে জানালা বন্ধ করে দিতে পারেন। ফ্যান চালিয়েও নিতে পারেন। ফ্যানের শব্দে অন্য শব্দ ঢাকা পড়ে যাবে। প্রয়োজনে কানে এয়ারপ্লাগ লাগিয়ে নিন। চাইলে হালকা কোনো অডিও ক্লিপ শুনতে পারেন।
আয়েশি থাকুন
ঘুম আসছে না, তাই চাপ অনুভব করছেন। পরিস্থিতি এমন হলেও নিজেকে শান্ত রাখুন। শরীরের পেশিগুলোকে রিল্যাক্স রাখুন। চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকুন। ধীরে ধীরে শ্বাস গ্রহণ করুন এবং ছাড়ুন। মুখের পেশির দিকে মনোযোগ দিন। প্রতিটি পেশিকেই আয়েশি অবস্থানে রাখতে হবে (অর্থাৎ কুঁচকে বা টানটান করে নয়)। এবার ঘাড় ও কাঁধের পেশিগুলোকে একইভাবে আয়েশি অবস্থানে আনুন। এভাবে দেহের প্রতিটি অংশকেই আয়েশি অবস্থানে বা শিথিল অবস্থায় আনুন।
বেশ খানিকটা সময় পেরোলে
আনুমানিক ২০ মিনিট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ঘুম না এলে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ুন। একটু হাঁটাহাঁটি করুন। সম্ভব হলে অন্য ঘরে গিয়ে একটি চেয়ারে বসে হালকা ধাঁচের কোনো বই পড়ুন। তবে খুব উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী কোনো বই পড়বেন না যেন। মানসিক চাপ বাড়ায়, এমন কোনো কাজই করবেন না। ধ্যানে বসতে পারলে কিন্তু বেশ হয়।