ডায়েট করতে গিয়ে কি মাথাব্যথা হচ্ছে? জেনে নিন সমাধান
ডায়েট করতে গিয়ে মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। প্রথম দিকে সহনীয় থাকলেও সময় গড়ালে তা অসহনীয় এবং বেশ অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। জেনে নিন, ডায়েট করতে গিয়ে কী কী কারণে মাথাব্যথা হয় এবং সেসব প্রতিকারের উপায়...
খাবারের মধ্যে বেশি বিরতি নেওয়া
ডায়েট করতে গিয়ে আমরা অনেকেই যেকোনো দুই বেলা খাবার খাওয়ার মাঝখানে খুব বেশি বিরতি নিয়ে ফেলি। একবার খাবার খাওয়ার পর থেকে আবার খাওয়ার আগপর্যন্ত এই অনিয়মিত এবং দীর্ঘ বিরতির ফলে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। শরীরে এই মাত্রাতিরিক্ত গ্লুকোজ আমাদের খিদে আরও বাড়িয়ে দেয়। শুধু তা–ই নয়, এই গ্লুকোজ মস্তিষ্কে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে এমন কিছু হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়, যা মানসিক চাপ বাড়াতে থাকে। এসব হরমোন বা রাসায়নিক উপাদানগুলো মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রতিকার: দুবার খাবার খাওয়ার মাঝখানে চার ঘণ্টার বেশি বিরতি নেবেন না। পারলে মাঝখানের সময় হালকা কিছু (বাদাম বা বিস্কুট) খেয়ে নিন।
পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া
বিজ্ঞানীরা বলেন, পানি কম খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের রক্তনালিগুলো সংকুচিত হতে শুরু করে। এর ফলে মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত এবং অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। এই পানিস্বল্পতা মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। এ ছাড়া ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবেও মাথাব্যথা হতে পারে।
প্রতিকার: যখনই তেষ্টা পাবে, তখনই বুঝে নিন শরীরে পানির ঘাটতি একটু হলেও দেখা দিয়েছে। পানির ঘাটতি কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। তাই নির্দিষ্ট সময় পরপর পানি খান। প্রতিবার খাবার খাওয়ার আগে এবং দুবার খাওয়ার মাঝখানেও পানি খেতে ভুলবেন না।
সুইটেনার খাওয়া
সুইটেনারে থাকে অ্যাসপারটেম। এই অ্যাসপারটেম হলো একধরনের নন-স্যাকারাইড উপাদান, যা সুক্রোজের চেয়ে ২০০ গুণ বেশি মিষ্টি! যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা বলছে, ডায়েট কোমল পানীয় বা খাবারে এই অ্যাসপারটেমের সংযোজন আমাদের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
প্রতিকার: যদি টের পান যে সুইটেনার আপনার মাথাব্যথার কারণ হচ্ছে, তাহলে যেকোনো ভালো ফুড জার্নাল থেকে এর ব্যবহারের নির্দেশাবলি ভালো করে পড়ে নিন।
হুট করে ক্যাফেইন গ্রহণ বন্ধ করা
ডায়েট করতে গিয়ে হুট করেই কফি বা কার্বোনেটেড বেভারেজ খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া ঠিক নয়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, হুট করেই ক্যাফেইন গ্রহণ কমিয়ে দেওয়া এমন প্রতি ১০০ জনের ৫০ জনই মাথাব্যথার শিকার হন।
প্রতিকার: হুট করে ক্যাফেইন খাওয়া বন্ধ না করে সময় নিন। ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলুন। তাহলে মাথাব্যথার সমস্যা থেকে প্রতিকার পাবেন।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট