ঈদে আনন্দের পাশাপাশি আছে বাড়তি পরিশ্রমও। বিশেষ করে ঈদুল আজহায় মাংস কাটাসহ অন্যান্য কাজ করতে গিয়ে অনেকেই কোমর বা পিঠব্যথায় আক্রান্ত হন।
অন্যদিকে অতিরিক্ত খাবারও ব্যথা–বেদনা বাড়িয়ে দিতে পারে। যাঁদের কিডনি সমস্যা বা হাইপার ইউরিসেমিয়া আছে, তাঁদের জন্য রেড মিট বেশি খাওয়া বারণ। কারণ, এর অতিরিক্ত প্রোটিনের কারণে শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। জয়েন্ট বা হাড়ের জোড়গুলোতে ইউরিক অ্যাসিড জমা হয়ে বিভিন্ন গিরা ফুলে যায় এবং ব্যথা করে।
মনে রাখুন
মেঝে বা উঠান পরিষ্কার করতে ছোট ঝাড়ু ব্যবহার করলে বেশি ঝুঁকতে হয়। এতে
কোমর ও মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে। দাঁড়িয়ে
পরিষ্কার করা যায়—এমন ঝাড়ু বা মপ ব্যবহার করবেন।
দীর্ঘ সময় বসে কাটাকুটির ফলে ব্যাক পেইন হতে পারে। সামনে ঝুঁকে অনেকক্ষণ কাজ করার কারণেও ব্যাক পেইন হতে পারে। তাই একনাগাড়ে কাটাকুটি করবেন না। বিরতি নিন।
চেয়ারে বসে বা টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে কাটাকুটি করতে পারলে ভালো।
চেয়ারে বসতে হবে মেরুদণ্ড ও ঘাড় সোজা রেখে।
নিয়মিত হাঁটা, দৌড়ানো কিংবা শরীরচর্চায় ব্যাক পেইনের ঝুঁকি কমে।
যা করতে হবে
সব সতর্কতার পরও ব্যথা শুরু হতে পারে এ সময়। যদি মেরুদণ্ডে ব্যথা হয়, তবে শক্ত বিছানায় বা মেঝেতে মাদুর বা ম্যাট বিছিয়ে
টান টান হয়ে শুয়ে থাকুন। প্রতিদিন ১৫ মিনিটের এ ব্যায়াম পিঠের ব্যথা কমাতে অনেক
সাহায্য করে।
নিয়মিত রিলাক্সেশন বা মেডিটেশনের ফলে শরীরের মাংসপেশিগুলো শিথিল হয়। এতে ব্যথা উপশম হয়।
দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শে দু–তিন দিন ব্যথানাশক ও মাসল রিলাক্সেন্ট খেতে পারেন।
মেনে চলুন
ঈদের ছুটিতেও ব্যায়ামের কথা ভুলে যাওয়া চলবে না। প্রাত্যহিক রুটিন ধরে রাখুন।
দিনে ২০ মিনিট হাঁটুন।
পরিমিত বিশ্রাম নিন।
ওজন যাতে না বাড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
অধ্যাপক মো. আবু সালেহ আলমগীর, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পেইন, ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (বিপিআরসি), ঢাকা