শজনেপাতা কি সত্যি ডায়াবেটিস কমায়?
শজনের পাতা, ফল, বাকল, ফুল ও বীজের আছে একাধিক পুষ্টিগুণসহ নানান ঔষধি গুণ। শজনেগাছের বহুল ব্যবহৃত অংশটি হলো এর পাতা, যা বর্তমানে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে ডায়াবেটিসের ওষুধ হিসেবে। কিন্তু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে শজনেপাতা ব্যবহার কতটা যৌক্তিক, সে সম্পর্কে রয়েছে অস্পষ্টতা।
যেসব পদ্ধতিতে শজনেপাতা গ্রহণ করা হচ্ছে
কাঁচা, রস করে, পাতার গুঁড়া চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে, ডাল হিসেবে, শাক, সস, স্যুপ কিংবা সালাদ হিসেবে।
ডায়াবেটিসে শজনেপাতার ভূমিকা
খালি পেটে ও খাওয়ার ২ ঘণ্টা পর রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে।
যাঁরা ইনসুলিন ব্যবহার করেন, তাঁদের ইনসুলিনের পরিমাণ কমায়।
অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়ায়।
ডায়াবেটিসে শজনেপাতার ভূমিকা কতটা যৌক্তিক
যেসব উপায়ে শজনেপাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, সে সম্পর্কে পর্যাপ্ত গবেষণার স্বল্পতা আছে।
গবেষণায় আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, শজনেপাতার অতিব্যবহারে লিভার ও কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জির সমস্যা এত তীব্র হতে পারে, যাতে মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৭ গ্রাম বা আধা চামচ গ্রহণের ফলে ভিটামিন বা খনিজ লবণজনিত বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
সর্বোচ্চ কত মাত্রায় কত দিন সেবন করা যাবে, তা জানা যায়নি।
কতটুকু সেবন করলে শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে, তার পরিমাণ অজানা।
শজনেপাতা কখন গ্রহণ করতে পারবেন না
থাইরয়েড হরমোনের অভাব থাকলে।
লিভারের সমস্যা থাকলে।
গর্ভাবস্থায়।
রক্তে শর্করার পরিমাণ খুব কম থাকলে।
সতর্কতা
যাঁরা ডায়াবেটিসের ওষুধের পাশাপাশি শজনেপাতা গ্রহণ করছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে শজনেপাতা ও ওষুধ একসঙ্গে গ্রহণের ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ওষুধ ছাড়া শুধু শজনেপাতা গ্রহণ করলে দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকার ফলে ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে শজনেপাতা গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে শজনেপাতা গ্রহণের ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে।