রোজায় কী খাবেন, কতটা খাবেন

ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার কমাতে বা বাদ দিতে পারলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি মিলবে
ছবি: খালেদ সরকার
  • ইফতার থেকে সাহ্‌রির শেষ সময় অবধি অন্তত ছয় গ্লাস পানি খান। পানীয় হিসেবে খেতে পারেন ঘরে বানানো বিভিন্ন ফলের শরবত, বেলের শরবত; ডাবের পানি, লাবাং। কেনা বা রাস্তার খোলা পানীয় খাবেন না। ঘরের তৈরি পানীয়তে জীবাণুর সংক্রমণ যেমন হয় না, তেমনি এতে ক্ষতিকর রং বা প্রিজারভেটিভও থাকে না।

  • চা বা কফি বেশি নয়, এগুলো শরীর থেকে পানি বের করে দেয়, পানিশূন্যতা তৈরি করে।

  • চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের কাছ থেকে আপনার উচ্চতা ও ওজন অনুযায়ী রমজানের একটি খাদ্যতালিকা তৈরি করে নিতে পারেন। ভাজাপোড়া খাবার কমাতে বা বাদ দিতে পারলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি মিলবে। যদি খেতেই হয়, একটি–দুটির বেশি খাবেন না। রোজ ভাজাপোড়া খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। একেক দিন একেক রকম ইফতারি দিয়ে ইফতার করুন।

আরও পড়ুন
  • পছন্দনীয় ও স্বাস্থ্যকর ইফতারির তালিকায় বাড়িতে তৈরি হালিম যুক্ত হতে পারে। যাদের রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, তাঁরা হালিম তৈরি করতে পারেন মুরগির মাংস দিয়ে। কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে চর্বি ছাড়া গরুর মাংস দিয়ে রান্না করতে পারেন সপ্তাহে একবার।

  • শিশুদের জন্য রাখতে হবে দুধের তৈরি খাবার। দুধ বা দই রাখতে পারেন প্রতিদিন। ডিমের তৈরি খাবারও বাচ্চাদের জন্য উপকারী। তৈরি করে দিতে পারেন ডিম চপ, এগ সালাদ বা স্যান্ডউইচ।

  • একসঙ্গে অনেক ছোলা খাবেন না। অনেক সময় এতে তীব্র পেটব্যথা হতে পারে। ছোলা তেল দিয়ে ভুনা না করে মেখে খেতে পারেন।

  • খাবারের তালিকা থেকে খুব বেশি ঝাল বাদ দিন।

  • ডায়াবেটিসের রোগীরা সব খাবার ইফতারেই না খেয়ে বিভিন্ন সময়ে ভাগ করে খান। ডায়াবেটিস হলে সাহ্‌রি খাওয়া আবশ্যক।

  • সাহ্‌রিতে আধা প্লেট শাকসবজি খেতে হবে। চার ভাগের এক ভাগ থাকবে ভাত (এক কাপ পরিমাণ), বাকি চার ভাগের এক ভাগে থাকবে মাছ বা মাংস।

  • ডায়াবেটিসের রোগীরা দুপুর ১২টায়, ইফতারের আগে, ইফতারের দুই ঘণ্টা পরে ও সাহ্‌রির আগে গ্লুকোমিটারে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করবেন। কখনো রক্তের গ্লুকোজ যদি ৪ মিলিমোল/লিটার হয়, তখন কিছু খেয়ে নিতে হবে হাইপোগ্লাইসেমিয়া থেকে রক্ষা পেতে।

*ডা. রোজানা রউফ: সহযোগী কনসালট্যান্ট, মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল