মেনস্ট্রুয়াল কাপ নাকি স্যানিটারি ন্যাপকিন?
বিশ্বজুড়ে স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিকল্প হিসেবে নানা কারণেই জনপ্রিয় হচ্ছে মেনস্ট্রুয়াল কাপ। এটি ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। আর সঠিক নিয়মে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যায় বলে ডিসপোজালের দরকার পড়ে না।
মেনস্ট্রুয়াল কাপের সুবিধা
ফানেল আকৃতির ছোট্ট একটি কাপ, খুব সহজেই যা যোনিপথে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া যায়। রাবার বা সিলিকন দিয়ে তৈরি হয় এই কাপ। খুব নমনীয় হওয়ায় এটি একেবারেই অস্বস্তিকর নয়। স্যানিটারি ন্যাপকিন বা ট্যাম্পুনের চেয়ে বেশি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বলে লম্বা সময় রাখা যায়। দুর্গন্ধও হয় না।
মেনস্ট্রুয়াল কাপ থেকে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে একদম প্রথমবার একটি কাপ ব্যবহারের আগে ফুটন্ত গরম পানিতে ৫-১০ মিনিট রেখে দিন। পানি ফেলে দেওয়ার পর কাপটি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে এরপর ব্যবহার শুরু করতে পারবেন। তবে ব্যবহারের পূর্বে এবং পরে এই কাপ কুসুম গরম পানি এবং সুগন্ধীবিহীন, তেলমুক্ত ও মৃদু প্রকৃতির সাবান দিয়ে ধুয়ে নেওয়া উচিত। ধোয়ার পর পরিষ্কার রুমাল বা তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। আর সব সময়ই মেনস্ট্রুয়াল কাপ স্পর্শ করার আগে কুসুম গরম পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
মনে রাখবেন
ব্যবহারের পূর্বে নিয়মকানুনগুলো জেনে নিন এবং ঠিকঠাকভাবে তা অনুসরণ করুন।
কাপটি প্রবেশ করানোর সময় অস্বস্তি এড়াতে কাপের বাইরের অংশে পানি কিংবা পানিজাতীয় লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা যায়। প্রস্তুতকারকের পক্ষ থেকে এ–বিষয়ক নির্দেশনা দেওয়া থাকে।
কাপটি সাবধানে বের করে আনতে হবে, যাতে এর ভেতরে জমা হওয়া রক্ত পড়ে না যায়। বের করে আনার পর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নেওয়া উচিত।
নানান মাপের মেনস্ট্রুয়াল কাপ পাওয়া যায়, সঠিক মাপের কাপটি বেছে নিন।
জরায়ুতে কোনো ডিভাইস থাকলে (যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণের কপার-টি) মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার না করাই ভালো।
মাসিক শেষে এই কয়েক দিনে আপনার ব্যবহৃত সবগুলো কাপ কুসুম গরম পানিতে ১-২ মিনিট রেখে এরপর পরিষ্কার রুমাল বা তোয়ালে দিয়ে মুছে রেখে দিন।
এমন স্থানে সংরক্ষণ করুন, যেখানে বাতাস চলাচল করে। পাতলা সুতি ব্যাগে রাখতে পারেন।
ব্যবহার করতে করতে কাপের গড়ন বা গঠনগত রূপ পরিবর্তিত হয়ে গেলে আর ব্যবহার করা যাবে না।
মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহারের পর কোনো ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হলে চিকিৎসা নিতে দেরি করবেন না।