এ সময় সর্দি-কাশি হলে কী করবেন
নানা কিছুর সংস্পর্শেই হতে পারে অ্যালার্জি। ধুলাবালু, পোষা পাখির পালক বা বিড়ালের পশম প্রভৃতি অ্যালার্জির সাধারণ কিছু কারণ। আবার এর উৎস হতে পারে বিভিন্ন খাবার যেমন ইলিশ, চিংড়ি মাছ, গরুর মাংস, মসুর ডাল ইত্যাদি। শীতের সময় ঠান্ডা থেকে, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা ফ্রিজ অথবা ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে যদি তা হয়, একে বলে কোল্ড অ্যালার্জি।
উপসর্গ
সাধারণত হাঁচি, সর্দি, কাশি, চোখে চুলকানি ও মাঝেমধ্যে এর সঙ্গে থাকতে পারে ক্লান্তি ও দুর্বলতা। তবে গায়ে ব্যথা বা জ্বর কোল্ড অ্যালার্জির অন্তর্ভুক্ত নয়।
কী করবেন
আপনার অ্যালার্জি আছে কি না, সেটা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া ভালো। যেহেতু নিরাময় করা যায় না, কারণগুলো শনাক্ত করা গেলে এবং সেগুলো থেকে দূরে থাকলে অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যাবে।
যেকোনো অ্যালার্জি নিরাময়ের প্রথম শর্ত হলো, যা থেকে অ্যালার্জি হয়, তা থেকে দূরে থাকা। যেমন ধুলাবালু থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করুন মাস্ক।
প্রতিরোধের ওষুধ নিয়মিত খাবেন অথবা শুধু শীতের সময় সেবন করবেন। নাকে নিতে পারেন ভেপার। আর যদি আক্রান্ত হয়েই যান, তখন বড়ি, নাকের ড্রপ, স্প্রে, ক্ষেত্রবিশেষে চোখের ড্রপ ব্যবহার করবেন।
নাকের স্প্রে বা ড্রপ বেশি দিন ব্যবহার করা ঠিক নয়। তাই নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ। চিকিৎসা ঠিক সময়ে না নিলে অনেকের ক্রনিক সাইনোসাইটিস হয়ে মাথাব্যথা হয়।
ভিটামিন সি খাবেন। মৌসুমি ফল, শাকসবজিতে প্রচুর ভিটামিন সি পাবেন। প্রচুর পানি পান করবেন।
নাক বন্ধ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, চিকিৎসা নিতে দেরি হলে এর সঙ্গে কানের প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যার ফলে কানব্যথা, বমি, মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ হতে পারে।
যারা ঝুঁকিপূর্ণ যেমন স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানি, হৃৎপিণ্ড কিংবা কিডনির জটিলতা আছে, গর্ভবতী নারী, তাদের সর্দি–কাশি হলে সতর্ক হতে হবে। দ্রুত করোনা, ইনফ্লুয়েঞ্জা বা রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস দ্বারা ইনফেকশন হয়েছে জেনে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
*ডা. রোজানা রউফ: সহযোগী কনসালট্যান্ট, মেডিসিন, স্কয়ার হাসপাতাল, ঢাকা